০৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জনমনে আতঙ্ক

বন্যার মধ্যে সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস

সোমবার (২৪) রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৬১.৮ মিলিমিটার। এর আগে সোমবার (২৪ জুন) সকালে সিলেটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ফের জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদ-নদীর পানি কোথাও সামান্য কমেছে আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে।

নদনদীগুলো পানিতে টইটুস্বুর থাকায় প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে এমনিতেই পানি নামছে ধীরে। এর মাঝে ফের বৃষ্টি জনমনে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন>> বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এরমধ্যে আরেকটি দুঃসংবাদ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২৮ জুন থেকে সিলেটে আবার ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস জানিয়েছে সংস্থাটি। বন্যার মধ্যে এমন পূর্ভাবাসে আরও ভীতি ছড়াচ্ছে সিলেটে। ভারী বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া নগরে দেখা দিতে পারে জলাবদ্ধতা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে গত তিন দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় প্রতি ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার করে পানি কমতে শুরু করেছিল। সবকটি নদনদীর পানি কমতে থাকে। তিন দিনে ৪০ থেকে ৫৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি কমে। কিন্তু সোমবার সকালে সিলেটে বৃষ্টিপাতের কারণে থমকে গেছে বিভিন্ন পয়েন্টের পানি প্রবাহ। কোথাও পানি কমা অপরিবর্তিত রয়েছে, আবারও কোথাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিলেটের আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৫৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর মঙ্গলবার (২৫ জন) সকাল ৬-৯টা পর্যন্ত ০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, সিলেটে ২৮ জুন থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> সিলেটে নদনদীর পানি আরও কমছে

এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি হতে পারে। এজন্য আগাম সতর্ক থাকতে বলেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওয়া তথ্যমতে, এখনো সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর আমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে গতকালের মতো বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি শেরপুর পয়েন্ট বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে জুড়ি ও মনু নদী কুশিয়ারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এ নদীর পানি নামার গতি খুবই কম। তাছাড়া এখন ভাটির দিকে প্রায় সব এলাকা প্লাবিত। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে ও প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমে যাবে।

জনমনে আতঙ্ক

বন্যার মধ্যে সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস

প্রকাশিত: ০১:৪৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

সোমবার (২৪) রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ৬১.৮ মিলিমিটার। এর আগে সোমবার (২৪ জুন) সকালে সিলেটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ফের জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদ-নদীর পানি কোথাও সামান্য কমেছে আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে।

নদনদীগুলো পানিতে টইটুস্বুর থাকায় প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে এমনিতেই পানি নামছে ধীরে। এর মাঝে ফের বৃষ্টি জনমনে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন>> বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এরমধ্যে আরেকটি দুঃসংবাদ জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২৮ জুন থেকে সিলেটে আবার ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস জানিয়েছে সংস্থাটি। বন্যার মধ্যে এমন পূর্ভাবাসে আরও ভীতি ছড়াচ্ছে সিলেটে। ভারী বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া নগরে দেখা দিতে পারে জলাবদ্ধতা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে গত তিন দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় প্রতি ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার করে পানি কমতে শুরু করেছিল। সবকটি নদনদীর পানি কমতে থাকে। তিন দিনে ৪০ থেকে ৫৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি কমে। কিন্তু সোমবার সকালে সিলেটে বৃষ্টিপাতের কারণে থমকে গেছে বিভিন্ন পয়েন্টের পানি প্রবাহ। কোথাও পানি কমা অপরিবর্তিত রয়েছে, আবারও কোথাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিলেটের আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৫৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর মঙ্গলবার (২৫ জন) সকাল ৬-৯টা পর্যন্ত ০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, সিলেটে ২৮ জুন থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন>> সিলেটে নদনদীর পানি আরও কমছে

এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি হতে পারে। এজন্য আগাম সতর্ক থাকতে বলেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওয়া তথ্যমতে, এখনো সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর আমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে গতকালের মতো বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি শেরপুর পয়েন্ট বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে জুড়ি ও মনু নদী কুশিয়ারার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এ নদীর পানি নামার গতি খুবই কম। তাছাড়া এখন ভাটির দিকে প্রায় সব এলাকা প্লাবিত। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে ও প্রতিদিন রোদ হলে বন্যার পানি কমে যাবে।