০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ওপরে

বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

আজ সোমবার সকালে সিলেটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আবারও জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে সিলেটে নদ-নদীর পানি কোথাও বেড়েছে আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। এমনিতেই প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে ধীরে। এর মাঝে তিন ঘণ্টার বৃষ্টি জনমনে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

পাউবোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ছয়টায় জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে আর বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সোমবার সকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। জেলার ২৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২০৯ জন মানুষ অবস্থান করছেন।

পাউবো জানায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে আজ সকাল থেকে একই অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে। বিকেল ৩টায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলে সকাল ৬টায় ছিল ১০ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় সেটি আরও বেড়ে ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। বিকেল ৩টায় তা আরও বেড়ে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার পানির ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে সকাল থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। বিকেল ৩টায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। গতকাল এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপরে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় পানি ধীরগতিতে নামছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ওপরে

বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

আজ সোমবার সকালে সিলেটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আবারও জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে সিলেটে নদ-নদীর পানি কোথাও বেড়েছে আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। এমনিতেই প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে ধীরে। এর মাঝে তিন ঘণ্টার বৃষ্টি জনমনে ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

পাউবোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেল ছয়টায় জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে আর বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সোমবার সকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। জেলার ২৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার ২০৯ জন মানুষ অবস্থান করছেন।

পাউবো জানায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে আজ সকাল থেকে একই অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে। বিকেল ৩টায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলে সকাল ৬টায় ছিল ১০ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় সেটি আরও বেড়ে ১০ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। বিকেল ৩টায় তা আরও বেড়ে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার পানির ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে সকাল থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। বিকেল ৩টায়ও একই অবস্থায় রয়েছে। গতকাল এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপরে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় পানি ধীরগতিতে নামছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।