০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসুস্থ যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানো হলো হাসপাতালে

হবিগঞ্জ কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) হঠাৎ কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হন যুবদল নেতা জালাল আহমেদ। পরে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়।

জেলা যুবদলের সদস্যসচিব শফিকুর রহমান সেতু বলেন, সোমবার দুপুরে জালাল আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারা কর্তৃপক্ষ তার অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি মানুষ মৃত্যুশয্যায়। অথচ তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি চরমন অমানবিক। তিনি মারাও যেতে পারতেন। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় একজন মানুষ মারা গেলে এর চেয়ে দুঃখজনক কী হতে পারে! রাজনীতি করাতো অন্যায় নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

জালাল আহমেদের আইনজীবী আফজাল হোসেন বলেন, ‘জালাল আহমদের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় তিনি কারাভোগ করে জামিনে রয়েছেন। সম্প্রতি আরও একটি মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গুরুতর অসুস্থ একজন রোগীকে ডান্ডাবেড়ি পরানোর ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কারাগার ও যুবদল সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলায় করা একটি মামলায় গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে জালাল আহমেদকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ২৬ অক্টোবর আদালত তাকে জামিন দেন। জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আবারও একটি মামলায় গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। চুনারুঘাট থানায় করা একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

সূত্র : জাগো নিউজ

বিষয়

অসুস্থ যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানো হলো হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৩:০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জ কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) হঠাৎ কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হন যুবদল নেতা জালাল আহমেদ। পরে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়।

জেলা যুবদলের সদস্যসচিব শফিকুর রহমান সেতু বলেন, সোমবার দুপুরে জালাল আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারা কর্তৃপক্ষ তার অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি মানুষ মৃত্যুশয্যায়। অথচ তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি চরমন অমানবিক। তিনি মারাও যেতে পারতেন। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় একজন মানুষ মারা গেলে এর চেয়ে দুঃখজনক কী হতে পারে! রাজনীতি করাতো অন্যায় নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

জালাল আহমেদের আইনজীবী আফজাল হোসেন বলেন, ‘জালাল আহমদের বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় তিনি কারাভোগ করে জামিনে রয়েছেন। সম্প্রতি আরও একটি মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গুরুতর অসুস্থ একজন রোগীকে ডান্ডাবেড়ি পরানোর ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কারাগার ও যুবদল সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলায় করা একটি মামলায় গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে জালাল আহমেদকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ২৬ অক্টোবর আদালত তাকে জামিন দেন। জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আবারও একটি মামলায় গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। চুনারুঘাট থানায় করা একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

সূত্র : জাগো নিউজ