০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্যার আশঙ্কা

সুনামগঞ্জে ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি

রাতভর বৃষ্টি ও উজানি ঢল নামা অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জে আবারও বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ফের বন্যার কবলে পড়ছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। 

রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের পাশের ডুবন্ত অংশ প্লাবিত করেছে। এরপর থেকে এই অংশে খেয়া নৌকা ব্যবহার করছেন যাত্রী ও স্থানীয়রা। এর কয়েক কিলোমিটার পরেই শক্তিয়ারখলা সড়কের একশ মিটার ডুবন্ত অংশও প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুর অংশেও পানি উঠেছে। এরইমধ্যে অনেকের বাড়ির আঙিনায় পানি প্রবেশ করেছে।

এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে বর্ষার বৃষ্টি ও চেরাপুঞ্জিতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের পাদদেশের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ  সড়কের কিছু অংশ আবার তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এই নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৮৬ মিলিমিটার। এদিকে সারারাত সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় কারণে উজানের পানিতে সীমান্তের নিচু সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যার আশঙ্কা

সুনামগঞ্জে ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি

প্রকাশিত: ১০:২১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

রাতভর বৃষ্টি ও উজানি ঢল নামা অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জে আবারও বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ফের বন্যার কবলে পড়ছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। 

রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুরের পাশের ডুবন্ত অংশ প্লাবিত করেছে। এরপর থেকে এই অংশে খেয়া নৌকা ব্যবহার করছেন যাত্রী ও স্থানীয়রা। এর কয়েক কিলোমিটার পরেই শক্তিয়ারখলা সড়কের একশ মিটার ডুবন্ত অংশও প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুর অংশেও পানি উঠেছে। এরইমধ্যে অনেকের বাড়ির আঙিনায় পানি প্রবেশ করেছে।

এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে বর্ষার বৃষ্টি ও চেরাপুঞ্জিতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের পাদদেশের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ  সড়কের কিছু অংশ আবার তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এই নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৮৬ মিলিমিটার। এদিকে সারারাত সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় কারণে উজানের পানিতে সীমান্তের নিচু সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।