০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে বন্যার উন্নতি, কমেনি দুর্ভোগ

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল কমায় ভাটির জেলা সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জেলায় গত ১৬ জুন থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ।

শুরুর দিকে সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা আক্রান্ত হলেও পরে জেলার সব উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। ছয় দিন ধরে মানুষ দুর্ভোগে আছেন। এখনো জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরে এখনো অনেক মানুষের বসতঘরে পানি আছে। এই মানুষজন আছে বেশিকষ্টে। অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। কেউবা পরিবার নিয়ে উঠেছেন আবাসিক হোটেলে। আবার কেউ কেউ আছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কম হওয়ায় কমতে শুরু করছে নদীর পানি। উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের ৫১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে এরইমধ্যে ২৫ হাজার মানুষ উঠেছেন। কিন্তু এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এরইমধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সহায়তার চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, পানি কমছে। বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। পাহাড়ি ঢলও নেমেছে কম। নদীর পানি আরও কমবে।

সুনামগঞ্জে বন্যার উন্নতি, কমেনি দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৮:২০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল কমায় ভাটির জেলা সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জেলায় গত ১৬ জুন থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ।

শুরুর দিকে সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা আক্রান্ত হলেও পরে জেলার সব উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। ছয় দিন ধরে মানুষ দুর্ভোগে আছেন। এখনো জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জ শহরে এখনো অনেক মানুষের বসতঘরে পানি আছে। এই মানুষজন আছে বেশিকষ্টে। অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। কেউবা পরিবার নিয়ে উঠেছেন আবাসিক হোটেলে। আবার কেউ কেউ আছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কম হওয়ায় কমতে শুরু করছে নদীর পানি। উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের ৫১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে এরইমধ্যে ২৫ হাজার মানুষ উঠেছেন। কিন্তু এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এরইমধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সহায়তার চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, পানি কমছে। বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। পাহাড়ি ঢলও নেমেছে কম। নদীর পানি আরও কমবে।