০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

ধর্ষণবিরোধী প্ল্যাকার্ড। ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকতে একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলার এক পক্ষের এক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুর রহমান চৌধুরী। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি খোয়ান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রায় ১২ বছর মামলার বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আজিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আজিজুর রহমান চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। তিনি ২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নান্টু রায় রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, আজিজুর রহমান ছাতক থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ছাতক পৌর শহরের একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এক পক্ষের এক নারীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।

মামলার পর আজিজুর রহমানকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়

নারীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৭:০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকতে একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলার এক পক্ষের এক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুর রহমান চৌধুরী। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি খোয়ান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রায় ১২ বছর মামলার বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে আজিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আজিজুর রহমান চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। তিনি ২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নান্টু রায় রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, আজিজুর রহমান ছাতক থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ছাতক পৌর শহরের একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তিনি এক পক্ষের এক নারীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।

মামলার পর আজিজুর রহমানকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।