০৯:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে বসতঘর পুড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা, শিশুসহ আহত ১৫

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ছোট একটি গ্রাম উমনপুর। এ গ্রাম চলে স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বরের নিয়ন্ত্রণে। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদ জুম্মা ৫০ লক্ষ টাকা মুচলেকা নিয়ে বৈটকে না আসায় অভিযুক্ত ড্রাইভারের বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নীসংযোগের ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে।

নির্মম এই হামলায় এক পরিবারের নারী শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও দু’টি বসতঘরে অগ্নীসংযোগ, তিনটি বসতঘর ভাংচুর এবং একটি মোটরসাইকল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

আহতরা হলেন মরম আলী (৭০), জুহরা বেগম (৬৫), পারভীন বেগম (৪০), আলবেলা বেগম (৩৮), ফাহিমা বেগম (৩৮), হাসিনা বেগম (৪৫), কুলছুমা বেগম (৪০), তানজিনা বেগম (১২), মারজানা বেগম (১৯), আবিদা বেগম (০৪), দেড় বছরের শিশু রীয়ান আহমদ, সোহাগ আহমদ (০৭), হাম্মাদ (১৭), সাকিব হাসান (১৪), সাইদ আহমদ (১৫)। আহতরা সিলেট, জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিসিৎসাধীন রয়েছেন।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


জানা গেছে, গত (১৩ জুন) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন নিহত হন। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় একই গ্রামের পিকআপ চালকসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকা অস্থায় স্থানিয় প্রভাবশালী মুরব্বির নির্দেশে ৫০ লক্ষ টাকা মুচলেকা রেখে বিচার শুরু করতে শুক্রবার তারিখ দেন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) উমনপুর মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে তারিখ অনুযায়ী সালীশ বৈঠক বসে তখন সে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সালীশ বৈঠকে হাজির হলেও রেহাই পায় নি। সে কেনো ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে সালীশ বৈঠক আসেনি সেজন্য প্রভাবশালী মুরব্বির নির্দেশে তার উপর আক্রমন করা হয়। এক পর্যায়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মঈনুল হোসেনের পরিবারের পক্ষে গ্রামের কিছু মুরব্বিদের কথায় উত্তেজিত জনতা মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে অভিযুক্ত পিকআপ চালকের বাড়িতে দলবেধে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলা ও ভাংচুর করার পার তাদের বসত ঘর পুড়িয়ে দেয় নিহত মঈনুল হোসেনের আত্মিয় স্বজনসহ গ্রামের মুরব্বিয়ান।

স্থানীয়রা আরো জানায়, মায়ের কোলে থাকা মনজুর আহমেদের ৩ বছরের শিশু রিহান আহমদও রেহাই পায়নি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে। তার মাথায় অঘাত ও হাত ভাঙ্গা রয়েছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

মাইকে ঘোষণা দিয়ে বসতঘর পুড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা, শিশুসহ আহত ১৫

প্রকাশিত: ১০:৪৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ছোট একটি গ্রাম উমনপুর। এ গ্রাম চলে স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বরের নিয়ন্ত্রণে। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদ জুম্মা ৫০ লক্ষ টাকা মুচলেকা নিয়ে বৈটকে না আসায় অভিযুক্ত ড্রাইভারের বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নীসংযোগের ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে।

নির্মম এই হামলায় এক পরিবারের নারী শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও দু’টি বসতঘরে অগ্নীসংযোগ, তিনটি বসতঘর ভাংচুর এবং একটি মোটরসাইকল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

আহতরা হলেন মরম আলী (৭০), জুহরা বেগম (৬৫), পারভীন বেগম (৪০), আলবেলা বেগম (৩৮), ফাহিমা বেগম (৩৮), হাসিনা বেগম (৪৫), কুলছুমা বেগম (৪০), তানজিনা বেগম (১২), মারজানা বেগম (১৯), আবিদা বেগম (০৪), দেড় বছরের শিশু রীয়ান আহমদ, সোহাগ আহমদ (০৭), হাম্মাদ (১৭), সাকিব হাসান (১৪), সাইদ আহমদ (১৫)। আহতরা সিলেট, জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিসিৎসাধীন রয়েছেন।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


জানা গেছে, গত (১৩ জুন) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন নিহত হন। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় একই গ্রামের পিকআপ চালকসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকা অস্থায় স্থানিয় প্রভাবশালী মুরব্বির নির্দেশে ৫০ লক্ষ টাকা মুচলেকা রেখে বিচার শুরু করতে শুক্রবার তারিখ দেন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) উমনপুর মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে তারিখ অনুযায়ী সালীশ বৈঠক বসে তখন সে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সালীশ বৈঠকে হাজির হলেও রেহাই পায় নি। সে কেনো ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে সালীশ বৈঠক আসেনি সেজন্য প্রভাবশালী মুরব্বির নির্দেশে তার উপর আক্রমন করা হয়। এক পর্যায়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মঈনুল হোসেনের পরিবারের পক্ষে গ্রামের কিছু মুরব্বিদের কথায় উত্তেজিত জনতা মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে অভিযুক্ত পিকআপ চালকের বাড়িতে দলবেধে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলা ও ভাংচুর করার পার তাদের বসত ঘর পুড়িয়ে দেয় নিহত মঈনুল হোসেনের আত্মিয় স্বজনসহ গ্রামের মুরব্বিয়ান।

স্থানীয়রা আরো জানায়, মায়ের কোলে থাকা মনজুর আহমেদের ৩ বছরের শিশু রিহান আহমদও রেহাই পায়নি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে। তার মাথায় অঘাত ও হাত ভাঙ্গা রয়েছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।