সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারাসহ সব কটি নদনদীর পানি আরও কমেছে। এতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে এমনটাই জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।
তবে সুরমা নদীর একটি ও কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকাল রোববারের তুলনায় সব কটি পয়েন্ট পানির উচ্চতা কমেছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
অপরদিকে সিলেট নগরীসহ উপজেলাগুলোতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাসাবাড়ির পানিও কমেছে।
রোববার (২৪ জুন) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি জকিগঞ্জের অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিলো ৪১ মিলিমিটার। আজ সোমবার সাকাল ৬টা-৯টা পর্যন্ত তিন ঘন্টায় সিলেটে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।আরও দু’একদিন বৃষ্টির পূর্ভাবাস রয়েছে।