০৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বন্যা পরিস্থিতি

সিলেটে আরও কমেছে নদনদীর পানি, আমলশীদ পয়েন্টে বেড়েছে

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর আমলসীদ পয়েন্ট ছাড়া সব কটি পয়েন্টে নদনদীর পানি আরও কমেছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থামায় দ্রুতই বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে অনেক পরিবার।

এদিকে সিলেটের দুটি নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জকিগঞ্জের আমলশীদ পয়েন্ট বাদে সব কটি পয়েন্ট পানির উচ্চতা আগের তুলনায় কমেছে। এতে জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

অপরদিকে সিলেট নগরীসহ উপজেলাগুলোতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাসাবাড়ির পানিও কমেছে। তবে কাটেনি দুর্ভোগ।

রোববার (২৪ জুন) সকাল ৯ টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি জকিগঞ্জের অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এই নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, গত দুইদিন ধরে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিলো মাত্র ২ মিলিমিটার। তবে আরও দু’একদিন ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি

সিলেটে আরও কমেছে নদনদীর পানি, আমলশীদ পয়েন্টে বেড়েছে

প্রকাশিত: ১০:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর আমলসীদ পয়েন্ট ছাড়া সব কটি পয়েন্টে নদনদীর পানি আরও কমেছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থামায় দ্রুতই বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে অনেক পরিবার।

এদিকে সিলেটের দুটি নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে জকিগঞ্জের আমলশীদ পয়েন্ট বাদে সব কটি পয়েন্ট পানির উচ্চতা আগের তুলনায় কমেছে। এতে জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

অপরদিকে সিলেট নগরীসহ উপজেলাগুলোতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাসাবাড়ির পানিও কমেছে। তবে কাটেনি দুর্ভোগ।

রোববার (২৪ জুন) সকাল ৯ টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি জকিগঞ্জের অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এই নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, গত দুইদিন ধরে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিলো মাত্র ২ মিলিমিটার। তবে আরও দু’একদিন ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস রয়েছে।