০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বন্যার উন্নতি, ভেসে উঠছে ক্ষত

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল কমায় সিলেট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। একইসঙ্গে নদ-নদীরপানিও কমেছে। তবে পানি কিছুটা ধীরগতিতে কমছে। পানি নামতে শুরু করায় বের হয়ে আসছে বন্যার ক্ষতচিন্থ। এতে দুর্গতএলাকায় ভোগান্তি আরও বাড়ছে। সিলেট নগরেরজলাবদ্ধ এলাকাগুলো থেকেও পানি নামছে।

এদিকে শনিবার (২২ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি অন্যান্য পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘আজ’ নতুন করেবৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুতউন্নতি হবে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটারবৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দু’একদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছিল। এর আগে গত শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তীত রয়েছে। এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি কমেছে।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে এখনো ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রন্ত।এর মধ্যে মহানগরে ৩০ হাজার। বর্তমানে মহানগরের ১৩টি ওয়ার্ড জেলার ১০৭টি ইউনিয়নে বন্যারপানি রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ২২ হাজার ৬২৩ জন মানুষ।এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

সিলেটে বন্যার উন্নতি, ভেসে উঠছে ক্ষত

প্রকাশিত: ০৬:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল কমায় সিলেট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। একইসঙ্গে নদ-নদীরপানিও কমেছে। তবে পানি কিছুটা ধীরগতিতে কমছে। পানি নামতে শুরু করায় বের হয়ে আসছে বন্যার ক্ষতচিন্থ। এতে দুর্গতএলাকায় ভোগান্তি আরও বাড়ছে। সিলেট নগরেরজলাবদ্ধ এলাকাগুলো থেকেও পানি নামছে।

এদিকে শনিবার (২২ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি অন্যান্য পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘আজ’ নতুন করেবৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুতউন্নতি হবে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ মিলিমিটারবৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দু’একদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছিল। এর আগে গত শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ০৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার এই পয়েন্টে পানি ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে অপরিবর্তীত রয়েছে। এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া লোভা, সারি, ডাউকি, সারিগোয়াইন ও ধলাই নদীর পানি কমেছে।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটে এখনো ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রন্ত।এর মধ্যে মহানগরে ৩০ হাজার। বর্তমানে মহানগরের ১৩টি ওয়ার্ড জেলার ১০৭টি ইউনিয়নে বন্যারপানি রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ২২ হাজার ৬২৩ জন মানুষ।এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।