বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সুরমা-কশিয়ারা নদীর পানি ছয়টি পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ সকাল নয়টায় পাউবোর সবশেষ তথ্যানুযায়ী, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও কামাইঘাট পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর আমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ০৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০৩ সেন্টিমার ও শেরপর পয়েন্টে ২৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান বৃষ্টিপাত আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এসময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয়নি। এছাড়াও সিলেটে আগামী পাঁচ দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্যঅনুযায়ী, নগর ও জেলার মোট ১৩০টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৮৪ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৬০২টি গ্রাম। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ২০ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য রান্না করা ও শুকনা খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে।