ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারাসহ তিনটি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।
এদিকে, টানা ভারী বৃষ্টিতে নদী ও ছড়া উপচে পানি নগরীতে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সিলেট নগরীর ভেতরে অনেক বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়) সিলেটে ১৫৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ও সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৪ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে, ভারতের আইএমডি’র তথ্যমতে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে বৃষ্টিপাত কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. ওমর সানি আকন জানান, গত রোববার পর্যন্ত সিলেটের ৯টি উপজেলায় ৫১২টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত হয়ে দিন পার করছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ জন মানুষ। এছাড়া জেলায় ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।