১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৩ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটে পাথর আমদানি শুরু

২৩ দিন পর বন্ধ থাকার পর সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে শুরু হয়েছে পাথর আমদানি।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সিলেটের সবকটি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আসা শুরু হয়েছে। এতে বন্দরগুলোতে ফের কর্মতৎপরতা বেড়েছে পাথর শ্রমিকদের।

তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে শুল্ক (অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু) বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ৭ জানুয়ারি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখেন আমদানিকারকরা। এতে প্রায় অচলাবস্থা দেখা দেয় তামাবিলসহ বাকি বন্দরগুলোতে। বেকার হয়ে যান হাজার হাজার পাথর শ্রমিক। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) নগরীর উপশহরে কাস্টম অফিসে কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানিকারকরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ দশমিক ২৫ ডলার থেকে ৭৫ সেন্ট কমানোর সিদ্ধান্তে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। পরে বুধবার সকাল থেকে পাথর আমদানি চালু করার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারকরা জানান, প্রতি টন পাথর ও চুনাপাথর সর্বোচ্চ ৮-১০ ডলারে তারা আমদানি করেন। তবে এ পাথরের ২০-৩০ শতাংশ নিম্নমানের থাকায় তা ফেলে দিতে হয়। তবুও গতবছরের জুলাই পর্যন্ত এনবিআর আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছিল পাথর ১১ ডলার ও চুনাপাথর সাড়ে ১১ ডলার। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের পর ৭৫ সেন্ট বৃদ্ধি নির্ধারণ করে নতুন অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দাঁড়ায় পাথরের ক্ষেত্রে ১১ দশমিক ৭৫ ডলার আর চুনাপাথরের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ২৫ ডলার। এরপর ৪ জানুয়ারি আবারও অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ দশমিক ২৫ ডলার বাড়িয়ে পাথরের ক্ষেত্রে ১৩ ডলার আর চুনাপাথরের ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ৫০ ডলার নির্ধারণ করে চিঠি দেয় কাস্টম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেসময় জানিয়েছিল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। যা গত ৮ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

বিষয়

২৩ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটে পাথর আমদানি শুরু

প্রকাশিত: ০৮:০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

২৩ দিন পর বন্ধ থাকার পর সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে শুরু হয়েছে পাথর আমদানি।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সিলেটের সবকটি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আসা শুরু হয়েছে। এতে বন্দরগুলোতে ফের কর্মতৎপরতা বেড়েছে পাথর শ্রমিকদের।

তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পাথর ও চুনাপাথর আমদানিতে শুল্ক (অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু) বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ৭ জানুয়ারি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখেন আমদানিকারকরা। এতে প্রায় অচলাবস্থা দেখা দেয় তামাবিলসহ বাকি বন্দরগুলোতে। বেকার হয়ে যান হাজার হাজার পাথর শ্রমিক। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) নগরীর উপশহরে কাস্টম অফিসে কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানিকারকরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ দশমিক ২৫ ডলার থেকে ৭৫ সেন্ট কমানোর সিদ্ধান্তে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। পরে বুধবার সকাল থেকে পাথর আমদানি চালু করার ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারকরা জানান, প্রতি টন পাথর ও চুনাপাথর সর্বোচ্চ ৮-১০ ডলারে তারা আমদানি করেন। তবে এ পাথরের ২০-৩০ শতাংশ নিম্নমানের থাকায় তা ফেলে দিতে হয়। তবুও গতবছরের জুলাই পর্যন্ত এনবিআর আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছিল পাথর ১১ ডলার ও চুনাপাথর সাড়ে ১১ ডলার। ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের পর ৭৫ সেন্ট বৃদ্ধি নির্ধারণ করে নতুন অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু দাঁড়ায় পাথরের ক্ষেত্রে ১১ দশমিক ৭৫ ডলার আর চুনাপাথরের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ২৫ ডলার। এরপর ৪ জানুয়ারি আবারও অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ১ দশমিক ২৫ ডলার বাড়িয়ে পাথরের ক্ষেত্রে ১৩ ডলার আর চুনাপাথরের ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ৫০ ডলার নির্ধারণ করে চিঠি দেয় কাস্টম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেসময় জানিয়েছিল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। যা গত ৮ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।