১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চুনাপাথর আমদানি বন্ধ

সিলেটে আন্দোলনে পাথর শ্রমিকরা

পাথর-চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের চলমান ধর্মঘটে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে সিলেটের বন্দরগুলোতে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরসহ ১৩টি শুল্ক স্টেশনে পাথর-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছে পাথর আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক।

এদিকে দাবি না মানায় রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন পাথর-চুনাপাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে শত শত নারী-পুরুষ। পরে বিক্ষোভকারীরা ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকরক গ্রুপের অফিসের সামনে প্রতিবাদ সভা করে।

এ বিষয়ে পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার বলেছেন নতুন হারে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু আদায় করা হবে। তিনি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু না কমালে আমরাও আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরবো না।

সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, সারাদেশে যে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু আছে তার সর্বনিম্ন হার সিলেটে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা আইন মেনেই করা হয়েছে। সিলেটের জন্য একবারে চাপিয়ে না দিয়ে দুই ধাপে গত বছরের আগস্ট মাসে শূন্য দশমিক ৭৫ ডলার আর এ জানুয়ারিতে ১ দশমিক ২৫ ডলার বাড়ানো হয়েছে।

বিষয়

চুনাপাথর আমদানি বন্ধ

সিলেটে আন্দোলনে পাথর শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ০১:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

পাথর-চুনাপাথর আমদানিতে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের চলমান ধর্মঘটে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে সিলেটের বন্দরগুলোতে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরসহ ১৩টি শুল্ক স্টেশনে পাথর-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছে পাথর আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক।

এদিকে দাবি না মানায় রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন পাথর-চুনাপাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে শত শত নারী-পুরুষ। পরে বিক্ষোভকারীরা ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকরক গ্রুপের অফিসের সামনে প্রতিবাদ সভা করে।

এ বিষয়ে পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার বলেছেন নতুন হারে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু আদায় করা হবে। তিনি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু না কমালে আমরাও আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরবো না।

সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, সারাদেশে যে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু আছে তার সর্বনিম্ন হার সিলেটে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা আইন মেনেই করা হয়েছে। সিলেটের জন্য একবারে চাপিয়ে না দিয়ে দুই ধাপে গত বছরের আগস্ট মাসে শূন্য দশমিক ৭৫ ডলার আর এ জানুয়ারিতে ১ দশমিক ২৫ ডলার বাড়ানো হয়েছে।