প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ক্ষমা নেই। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা হঠাৎ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। তবে বিদেশে বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোনো দিন সফল হতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমার একটাই কথা, আওয়ামী লীগ সরকারে এলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯-২০১৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। আজকে সিলেটে এসেছি, এখানে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেকটি মানুষকে ঘর করে দিয়েছি। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছি। বাকিগুলো অচিরেই পূরণ করব ইনশাহআল্লাহ। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ যদি ভোট দেয়। আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি। তাহলে পুরো বাংলাদেশটাকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়তে পারব। কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ইতোমধ্যে আমরা উন্নত বিশ্বের মর্যাদা পেয়েছি। ক্ষমতায় আসার পরেই সেটি কার্যকর করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা নির্বাচন করবে না, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে। এটা জনগণের সম্পত্তি। রেললাইন অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে মানুষ হত্যা করে। এটা হচ্ছে জঙ্গিবাদী কাজ। এই কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি জামায়াত জোট। বিএনপির একটাই কাজ মানুষ পুড়িয়ে মারা। ২০১৩ ও ২০১৪ তেও দেখেছি তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কি ধরনের আন্দোলন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই কাজ করি। এদিকে রেলে আগুন দিল, একাটা মা-সন্তান পুড়িয়ে মরলো। এর চেয় কষ্টের কি হতে পারে? কি করে তারা মানুষ হত্যা করে। পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারক, জনগণের ওপর হামলা করে। এটা কি ধরনের খেলা। একজন লন্ডন বসে হুমুক দেয়। আর দেশে কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়। মানুষ মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর আজ আবার সিলেটের কোনো জনসভায় বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জড়ো হবেন বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতির দিক-নির্দেশনা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।