০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলবে না গাড়ি, কিনব্রিজ হবে দেশের দীর্ঘতম পদচারী-সেতু?

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ দিয়ে আর যানবাহন চলাচল করবে না। জননিরাপত্তার স্বার্থে ও ঐতিহ্যবাহী এই কিনব্রিজকে টিকিয়ে রাখতে যান চলাচল বন্ধ রেখে শুধুমাত্র পায়ে হাঁটার জন্য উন্মুক্ত থাকবে গুরুত্বপুর্ণ এই ব্রিজটি। ফলে কিনব্রিজ হবে দেশের দীর্ঘতম পদচারী-সেতু।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন।

তিনি বলেন, কিনব্রিজের সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সিলেটের জনসভার পরে একটি তারিখ নির্ধারণ করে আমরা ব্রিজটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। তবে এই ব্রিজটি শুধু পায়ে হেঁটে চলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কারণ এই ব্রিজটির সংস্কার করতে গিয়ে দেখা গেছে এটি আর যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না। এই ব্রিজ দিয়ে এখন যান চলাচল করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজকে টিকিয়ে রাখতে এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

সওজ সূত্রে জানা যায়, কিনব্রিজ সংস্কারের বিষয়ে ২০২০ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সেতু সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পরে সওজের পক্ষ থেকে সেতুটি সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সিলেটের সওজ। একই বছরের জুন মাসে বরাদ্দের টাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় সংস্কার কাজ হচ্ছিল না।

পরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল প্রকৌশল বিভাগ ১৬ আগস্ট কিনব্রিজে মেরামত, নবায়নসহ নির্মাণকাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস যানবাহন ও মানুষজন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পথচারীদের চলাচল বন্ধ করতে সেতুটির দুই পাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়।

বিষয়

চলবে না গাড়ি, কিনব্রিজ হবে দেশের দীর্ঘতম পদচারী-সেতু?

প্রকাশিত: ০৫:২৩:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ দিয়ে আর যানবাহন চলাচল করবে না। জননিরাপত্তার স্বার্থে ও ঐতিহ্যবাহী এই কিনব্রিজকে টিকিয়ে রাখতে যান চলাচল বন্ধ রেখে শুধুমাত্র পায়ে হাঁটার জন্য উন্মুক্ত থাকবে গুরুত্বপুর্ণ এই ব্রিজটি। ফলে কিনব্রিজ হবে দেশের দীর্ঘতম পদচারী-সেতু।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন।

তিনি বলেন, কিনব্রিজের সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সিলেটের জনসভার পরে একটি তারিখ নির্ধারণ করে আমরা ব্রিজটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। তবে এই ব্রিজটি শুধু পায়ে হেঁটে চলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। কারণ এই ব্রিজটির সংস্কার করতে গিয়ে দেখা গেছে এটি আর যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না। এই ব্রিজ দিয়ে এখন যান চলাচল করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই ব্রিজকে টিকিয়ে রাখতে এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

সওজ সূত্রে জানা যায়, কিনব্রিজ সংস্কারের বিষয়ে ২০২০ সালে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সেতু সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পরে সওজের পক্ষ থেকে সেতুটি সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সিলেটের সওজ। একই বছরের জুন মাসে বরাদ্দের টাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় সংস্কার কাজ হচ্ছিল না।

পরে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল প্রকৌশল বিভাগ ১৬ আগস্ট কিনব্রিজে মেরামত, নবায়নসহ নির্মাণকাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস যানবাহন ও মানুষজন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর পথচারীদের চলাচল বন্ধ করতে সেতুটির দুই পাশে টিনের বেড়া দেওয়া হয়।