১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাংবাদিক তুরাব হত্যা

‘কনস্টেবল উজ্জল সিনহা পাঁচ দিনের রিমান্ডে’

নিজস্ব

সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্য উজ্জল সিনহাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন এ আদেশ দেন। এর আগে রোববার রাতে ঢাকা থেকে উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে আলোচিত এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআই পরিদর্শক মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, কনস্টেবল উজ্জল সিনহাকে আদালতে তোলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম জানান, ওই পুলিশ সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট নগরের বন্দরবাজারে গুলিতে আহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। ওইদিনই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি। তুরাব দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট আওয়ামী লীগের দুবৃর্ত্তরা ও অবৈধ সরকারের অপেশাদার পুলিশের দ্বারা ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে একজোট হয়ে বাদীর নিরপরাধ ছোট ভাই সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবকে (এটিএম তুরাব) হত্যা করেন।

আরও বলা হয়, এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা বাদীকে হত্যার হুমকি দেন। পরে আসামিরা রাষ্ট্রীয় প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীকে ঢাকায় নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করান।

আলোচিত এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। আদালতের নির্দেশে গত ৮ অক্টোবর মামলার নথিপত্র কোতোয়ালি থানা পুলিশ পিবিআইকে বুঝিয়ে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরসালিন বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যে এক জনকে আটক করেছি। দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সাংবাদিক তুরাব হত্যা

‘কনস্টেবল উজ্জল সিনহা পাঁচ দিনের রিমান্ডে’

প্রকাশিত: ০৭:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্য উজ্জল সিনহাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন এ আদেশ দেন। এর আগে রোববার রাতে ঢাকা থেকে উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে আলোচিত এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআই পরিদর্শক মোহাম্মদ মোরসালিন বলেন, কনস্টেবল উজ্জল সিনহাকে আদালতে তোলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম জানান, ওই পুলিশ সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট নগরের বন্দরবাজারে গুলিতে আহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। ওইদিনই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি। তুরাব দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট আওয়ামী লীগের দুবৃর্ত্তরা ও অবৈধ সরকারের অপেশাদার পুলিশের দ্বারা ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে একজোট হয়ে বাদীর নিরপরাধ ছোট ভাই সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবকে (এটিএম তুরাব) হত্যা করেন।

আরও বলা হয়, এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা বাদীকে হত্যার হুমকি দেন। পরে আসামিরা রাষ্ট্রীয় প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীকে ঢাকায় নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করান।

আলোচিত এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। আদালতের নির্দেশে গত ৮ অক্টোবর মামলার নথিপত্র কোতোয়ালি থানা পুলিশ পিবিআইকে বুঝিয়ে দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরসালিন বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি এবং ইতোমধ্যে এক জনকে আটক করেছি। দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।