০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ছবি-সংগৃহীত

সিলেটে পুলিশের গুলিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছে। অভিযোগপত্রে ৮-১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন শিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেটির তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগটি আমরা জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছি।

অভিযোগে নিহত তুরাবের ভাই আবুল হাসান উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন তুরাব। এক পর্যায়ে বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পিছনে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিকে অবস্থান নেয়। ওই সময় হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনা যায় এবং তুরাব চিৎকার করে মটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন সহকর্মী ও পথচারীরা তাকে দ্রুত সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।  সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় তুরাব মৃত্যুবরণ করেন।

গোলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে বলে আবুল হাসান অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।

বিষয়

সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

সিলেটে পুলিশের গুলিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নিয়েছে। অভিযোগপত্রে ৮-১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন শিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেটির তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগটি আমরা জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছি।

অভিযোগে নিহত তুরাবের ভাই আবুল হাসান উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন তুরাব। এক পর্যায়ে বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পিছনে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিকে অবস্থান নেয়। ওই সময় হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনা যায় এবং তুরাব চিৎকার করে মটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন সহকর্মী ও পথচারীরা তাকে দ্রুত সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।  সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় তুরাব মৃত্যুবরণ করেন।

গোলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে বলে আবুল হাসান অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।