দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে ১ জানুয়ারি বই উৎসব হবে কিনা এ নিয়ে সংশয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের কারণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত ১ জানুয়ারি বই উৎসব করতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে পারেন। এরপর ১৫ দিনব্যাপী চলবে বিতরণ উৎসব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচনের কারণে এ বছর বই উৎসব পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে সেই শঙ্কা এখন আর নেই। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসব উদ্বোধনের পর বছরের প্রথম দিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলবে বই বিতরণ কার্যক্রম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের বই তুলে দিয়ে বই উৎসব পালন করা হচ্ছে। এ সরকারের সফল কর্মসূচির অন্যতম একটি হলো ১ জানুয়ারি কোমলমতী শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসব করা। এর আগে ২০১৪-১৫ সালে টানা অবরোধেও মধ্যে এই উৎসব বাদ দেওয়া হয়নি। এবারও সেই উৎসব করতে চায় সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণে বই উৎসব পিছিয়ে যেতে পারে। ঠিক ১ তারিখে (জানুয়ারি) নাকি ১০-১১ জানুয়ারি হবে সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আলোচনা চলছে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সেটা আপাতত দেখছে না সরকার। তাই সরকারের সফল এই কার্যক্রমকে ভালো করে প্রচার করতে চায় সরকার।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, ১ জানুয়ারিই বই উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সায় দিলে ১ জানুয়ারি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি বই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর বই বিতরণ চলবে ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
৩০ কোটির বেশি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে বলেও তিনি জানান।