১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আন্দোলন চলবে’, আজ সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে তিনটায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রোববার রাতে অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে এক ভিডিও বার্তায় ডিবি হেফাজতে থাকা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন অন্য সমন্বয়কেরা। তাদের দাবি, জোর করে অস্ত্রের মুখে সমন্বয়দের জিম্মি করে এটি করা হয়েছে। ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করে ছাত্র-জনতাকে আজকের (সোমবার) কর্মসূচি পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাকি সমন্বয়কেরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব। প্রিয় দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ, বিগত কয়েকদিন যাবৎ গণহত্যা, গণগ্রেপ্তারের পর সরকার এখন এক নতুন নাটকের সৃষ্টি করেছে। সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে জিম্মি করে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে, ছাত্রসমাজের দাবিগুলোর প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে।’

আরও পড়ুন>> কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

‘শুধু তাই নয়, সারাদেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শহীদদের পরিবারকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে, আর্মড ফোর্সকে ব্যবহার করে ঢাকায় এনে সরকার তাদের থেকে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়া ও আন্দোলনকারীদের ওপর সমস্ত দায় চাপিয়ে শহীদের রক্তের সঙ্গে তামাশা করেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে ভাই, জীবনের শেষনিশ্বাস পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর এবার দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার চলছে। একের পর এক মামলদেওয়া হচ্ছে। জানালার পাশে পড়ার সময় কোমলমতি শিশু সামিরকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি স্কুল ও কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আহত ও শহীদ করা হয়েছে। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজের এই আন্দোলন চলবে।’

‘সোমবার সারাদেশে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করবে। আমাদের দাবি আদায়ের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে দেশবাসীকে অনুরোধ করছি’, বলা হয় বার্তায়।

এর আগে ডিবি কার্যালয় থেকে ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

এসময় তাঁর সাথে ছিলেন সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম।

বাঙালনিউজের সর্বশেষ খবর গুগল নিউজ চ্যানেলে

‘আন্দোলন চলবে’, আজ সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০২:৫২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে তিনটায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রোববার রাতে অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে এক ভিডিও বার্তায় ডিবি হেফাজতে থাকা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন অন্য সমন্বয়কেরা। তাদের দাবি, জোর করে অস্ত্রের মুখে সমন্বয়দের জিম্মি করে এটি করা হয়েছে। ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করে ছাত্র-জনতাকে আজকের (সোমবার) কর্মসূচি পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাকি সমন্বয়কেরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব। প্রিয় দেশবাসী ও ছাত্রসমাজ, বিগত কয়েকদিন যাবৎ গণহত্যা, গণগ্রেপ্তারের পর সরকার এখন এক নতুন নাটকের সৃষ্টি করেছে। সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে জিম্মি করে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে, ছাত্রসমাজের দাবিগুলোর প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে।’

আরও পড়ুন>> কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

‘শুধু তাই নয়, সারাদেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শহীদদের পরিবারকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে, আর্মড ফোর্সকে ব্যবহার করে ঢাকায় এনে সরকার তাদের থেকে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়া ও আন্দোলনকারীদের ওপর সমস্ত দায় চাপিয়ে শহীদের রক্তের সঙ্গে তামাশা করেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে ভাই, জীবনের শেষনিশ্বাস পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারে না।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর এবার দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার চলছে। একের পর এক মামলদেওয়া হচ্ছে। জানালার পাশে পড়ার সময় কোমলমতি শিশু সামিরকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি স্কুল ও কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আহত ও শহীদ করা হয়েছে। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজের এই আন্দোলন চলবে।’

‘সোমবার সারাদেশে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করবে। আমাদের দাবি আদায়ের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে দেশবাসীকে অনুরোধ করছি’, বলা হয় বার্তায়।

এর আগে ডিবি কার্যালয় থেকে ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

এসময় তাঁর সাথে ছিলেন সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম।

বাঙালনিউজের সর্বশেষ খবর গুগল নিউজ চ্যানেলে