১১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষ দেখলেই তেড়ে অসে রাসেলস ভাইপার

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে পদ্মার তীরের কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে এই সাপের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। শোনা যাচ্ছে, মফঃস্বলের গণ্ডি ছাড়িয়ে ঢাকার কাছাকাছি চলে এসেছে রাসেলস ভাইপার সাপ। মেডিকেল জার্নাল বলছে, ভয়ংকর এই সাপের কামড়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এন্টি ভেনম চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

সাধারণত দিনের বেলায় এই সাপ বের হয়। সাধারণ সাপ যেখানে মানুষকে এড়িয়ে চলে, সেখানে এই সাপ একেবারেই উল্টো। রাসেলস ভাইপার সাপের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুই মানুষ। তাছাড়া এই সাপ ঘন জঙ্গল এড়িয়ে চলে। সাধারণত ঘাসে ঢাকা খোলা মাঠ, ফসলি জমি প্রভৃতি জায়গায় বিচরণ করে। আত্মরক্ষার্থে কীভাবে চিনবেন রাসেলস ভাইপার সাপ? চলুন জেনে আসি-

এই সময়ে মানুষের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম হচ্ছে ‘রাসেলস ভাইপার’। মোটা দাগে একে বলা হচ্ছে- ‘কিলিং মেশিন’। বিশ্বের পাঁচটি বিষধর সাপের মধ্যে রাসেলস ভাইপার অন্যতম। পদ্মার তীরের কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে ক্রমশ উপদ্রব উৎপাদন করে যাচ্ছে এই সাপ। রাসেলস ভাইপারস সাপের কামড়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন।

এই সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও সমানুপাতিক পরিচিত। সাপটির লেজ এবং মাথার দিকটা সুরু এবং শরিরের মধ্যভাগ মোটা।

অন্য সাপের থেকে একেকবারেই ভিন্ন প্রকৃতির এই সাপ।এটি পানিতে থাকা খুব একটা পছন্দ করেনা। ঠাণ্ডা ও শীতল আবহাওয়ায় থাকতে পছন্দ করে বলে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে দেখা মেলে এটির। সচরাচর কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকয়ে পছন্দ করে। অন্য সাপ ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা জন্ম দিলে একটি কিন্তু তেমনটি নয়। এটি একসঙ্গে ৫০-৮০টি বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম।

এই সাপের কামড়ে শরীরের বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে। ভয়ংকর এই সাপের কামড়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এন্টি ভেনম চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ বলেও বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন।

আত্মরক্ষার জন্য কীভাবে চিনবেন রাসেলস ভাইপার সাপ? চলুন জেনে আসি-

রাসেলস ভাইপারের জিহ্বা বাদামি কিংবা কালো রঙের হতে পারে। সেই সঙ্গে এর সারা শরীরে বাদামি বা কালো গোল গোল দাগ থাকে। এই দাগগুলো আকৃতিতে অনেকটা চাঁদের মতো। অজগর সাপের সঙ্গে মিল আছে। পেটের দিকে থাকা আঁশ সাদা রঙের। বিষদাঁত তুলনামূলক লম্বা। হতে পারে ১৬ মিলিমিটার পর্যন্ত। শরীরের রঙ হলদে বাদামি অর্থাৎ কাঠ রঙের হওয়ায় শুকনা পাতার মধ্যে এই সাপ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে।

খবর: দ্য রিপোর্ট লাইভ

মানুষ দেখলেই তেড়ে অসে রাসেলস ভাইপার

প্রকাশিত: ১০:১৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে পদ্মার তীরের কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে এই সাপের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। শোনা যাচ্ছে, মফঃস্বলের গণ্ডি ছাড়িয়ে ঢাকার কাছাকাছি চলে এসেছে রাসেলস ভাইপার সাপ। মেডিকেল জার্নাল বলছে, ভয়ংকর এই সাপের কামড়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এন্টি ভেনম চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

সাধারণত দিনের বেলায় এই সাপ বের হয়। সাধারণ সাপ যেখানে মানুষকে এড়িয়ে চলে, সেখানে এই সাপ একেবারেই উল্টো। রাসেলস ভাইপার সাপের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুই মানুষ। তাছাড়া এই সাপ ঘন জঙ্গল এড়িয়ে চলে। সাধারণত ঘাসে ঢাকা খোলা মাঠ, ফসলি জমি প্রভৃতি জায়গায় বিচরণ করে। আত্মরক্ষার্থে কীভাবে চিনবেন রাসেলস ভাইপার সাপ? চলুন জেনে আসি-

এই সময়ে মানুষের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম হচ্ছে ‘রাসেলস ভাইপার’। মোটা দাগে একে বলা হচ্ছে- ‘কিলিং মেশিন’। বিশ্বের পাঁচটি বিষধর সাপের মধ্যে রাসেলস ভাইপার অন্যতম। পদ্মার তীরের কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে ক্রমশ উপদ্রব উৎপাদন করে যাচ্ছে এই সাপ। রাসেলস ভাইপারস সাপের কামড়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন।

এই সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও সমানুপাতিক পরিচিত। সাপটির লেজ এবং মাথার দিকটা সুরু এবং শরিরের মধ্যভাগ মোটা।

অন্য সাপের থেকে একেকবারেই ভিন্ন প্রকৃতির এই সাপ।এটি পানিতে থাকা খুব একটা পছন্দ করেনা। ঠাণ্ডা ও শীতল আবহাওয়ায় থাকতে পছন্দ করে বলে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে দেখা মেলে এটির। সচরাচর কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকয়ে পছন্দ করে। অন্য সাপ ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা জন্ম দিলে একটি কিন্তু তেমনটি নয়। এটি একসঙ্গে ৫০-৮০টি বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম।

এই সাপের কামড়ে শরীরের বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে। ভয়ংকর এই সাপের কামড়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এন্টি ভেনম চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ বলেও বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন।

আত্মরক্ষার জন্য কীভাবে চিনবেন রাসেলস ভাইপার সাপ? চলুন জেনে আসি-

রাসেলস ভাইপারের জিহ্বা বাদামি কিংবা কালো রঙের হতে পারে। সেই সঙ্গে এর সারা শরীরে বাদামি বা কালো গোল গোল দাগ থাকে। এই দাগগুলো আকৃতিতে অনেকটা চাঁদের মতো। অজগর সাপের সঙ্গে মিল আছে। পেটের দিকে থাকা আঁশ সাদা রঙের। বিষদাঁত তুলনামূলক লম্বা। হতে পারে ১৬ মিলিমিটার পর্যন্ত। শরীরের রঙ হলদে বাদামি অর্থাৎ কাঠ রঙের হওয়ায় শুকনা পাতার মধ্যে এই সাপ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে।

খবর: দ্য রিপোর্ট লাইভ