০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন প্রকাশ্যে আনলেন আইনজীবী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা আবেদনটি প্রকাশ্যে এনেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের পক্ষে আবেদনটি গ্রহণ করা হয় বলেও সাংবাদিকদের জানান খালেদা জিয়ার এ আইনজীবী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর দেওয়া আবেদনে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার লিখেছেন, উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৭ম বারের মতো দুটি শর্ত সাপেক্ষে ৬ (ছয়) মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। তার মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।

বেগম জিয়া কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে তিনি রিলিজ পান।

কিন্তু পুনরায় তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারো ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তিতে আরো ৭ বার তাকে জরুরী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়।

বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় অবস্থান করলেও অধিকতর উন্নত চিকিৎসার অভাবে এবং কভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। উপরন্ত দিনের পর দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অতীব উদ্বেগের বিষয় ইতোমধ্যে তিনি ‘লিভার সিরোসিস’ এবং ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়েছেন। যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

তিনি পূর্বের মতোই উঠে দাঁড়াতে পারেন না, এমনকি কাহারও সাহায্য ছাড়া ওয়াশ-রুম কিংবা শয়নকক্ষের বাইরেও যেতে পারেন না।’

শামিম ইস্কান্দার ওই আবেদনে লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে advance medical centre’-এ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সকল শর্ত শিথিল পূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’

বিষয়

খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন প্রকাশ্যে আনলেন আইনজীবী

প্রকাশিত: ১০:৩৯:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা আবেদনটি প্রকাশ্যে এনেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের পক্ষে আবেদনটি গ্রহণ করা হয় বলেও সাংবাদিকদের জানান খালেদা জিয়ার এ আইনজীবী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর দেওয়া আবেদনে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার লিখেছেন, উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী আদেশে ৭ম বারের মতো দুটি শর্ত সাপেক্ষে ৬ (ছয়) মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। তার মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।

বেগম জিয়া কভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে তিনি রিলিজ পান।

কিন্তু পুনরায় তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারো ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তিতে আরো ৭ বার তাকে জরুরী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়।

বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় অবস্থান করলেও অধিকতর উন্নত চিকিৎসার অভাবে এবং কভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। উপরন্ত দিনের পর দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অতীব উদ্বেগের বিষয় ইতোমধ্যে তিনি ‘লিভার সিরোসিস’ এবং ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়েছেন। যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

তিনি পূর্বের মতোই উঠে দাঁড়াতে পারেন না, এমনকি কাহারও সাহায্য ছাড়া ওয়াশ-রুম কিংবা শয়নকক্ষের বাইরেও যেতে পারেন না।’

শামিম ইস্কান্দার ওই আবেদনে লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে advance medical centre’-এ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সকল শর্ত শিথিল পূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’