০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সভা রোববার

রওশনকে নিয়ে নামার চেষ্টায় জি এম কাদের বিরোধীরা

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরোধীরা রওশন এরশাদকে সামনে রেখে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে রোববার দলের নেতাদের মতবিনিময় সভা ডেকেছেন রওশন। যদিও বলা হচ্ছে, বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে বিদায় উপলক্ষে এ সভা হবে।

অবশ্য বিরোধীদের এ তৎপরতাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, যারা পদত্যাগ করেছেন, তারা নতুন দল করলে স্বাগত জানাই। এটি গণতন্ত্রের জন্য শুভলক্ষণ। তবে পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ হলে, তা দেখার বিষয়।

নির্বাচনের আগে থেকেই জাপায় টানাপোড়েন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভরাডুবির পর তা বেড়েছে। স্ত্রী শেরিফা কাদেরের জন্য আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসন ছাড় পাওয়ার পরই জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন– এ অভিযোগ তুলে নেতৃত্বের সমালোচনা করে কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা পদ হারিয়েছেন।

ভোটের আগে দলটির একাধিক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যান। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন জি এম কাদের। ভোটে নামিয়ে প্রার্থীদের খবর নেননি। গত নির্বাচনে জামানত হারানো শেরিফা কাদের সংরক্ষিত আসনে দ্বাদশ সংসদে যাবেন– এ খবরে বিরোধিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাদ পড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করে জাপা মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রায় ৭০০ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট দেওয়ার মতো লোক পাওয়া যায়নি। পদত্যাগের জন্য এত নেতাকর্মী কোথা থেকে এলো? শেরিফা কাদেরের আসনে এজেন্ট পাওয়া যায়নি, সেখানেই পদত্যাগের জন্য শফিকুল ইসলাম এত নেতাকর্মী কীভাবে পেলেন? বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করব। যারা পদত্যাগ করতে মিছিল নিয়ে গেছে, তাদের মাত্র সাত-আটজনকে চিনি। জাতীয় পার্টিতে এত কর্মী ছিল, সেটাও জানলাম।

এদিকে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পক্ষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য নেতৃত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়া নেতাকর্মীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন রওশন এরশাদ। লাঙ্গলের প্রার্থী ও তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিগত ৩৭ বছরে তিনি বারবার দলের ক্রান্তিকালে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। গত নির্বাচনে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায়, ভোটে অংশ নেননি।

বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ সমকালকে বলেছেন, বিদায়বেলায় সবাইকে ডেকেছেন রওশন এরশাদ। সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন তিনি।

সূত্র: সমকাল

সভা রোববার

রওশনকে নিয়ে নামার চেষ্টায় জি এম কাদের বিরোধীরা

প্রকাশিত: ১১:০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরোধীরা রওশন এরশাদকে সামনে রেখে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে রোববার দলের নেতাদের মতবিনিময় সভা ডেকেছেন রওশন। যদিও বলা হচ্ছে, বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে বিদায় উপলক্ষে এ সভা হবে।

অবশ্য বিরোধীদের এ তৎপরতাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, যারা পদত্যাগ করেছেন, তারা নতুন দল করলে স্বাগত জানাই। এটি গণতন্ত্রের জন্য শুভলক্ষণ। তবে পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ হলে, তা দেখার বিষয়।

নির্বাচনের আগে থেকেই জাপায় টানাপোড়েন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভরাডুবির পর তা বেড়েছে। স্ত্রী শেরিফা কাদেরের জন্য আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আসন ছাড় পাওয়ার পরই জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন– এ অভিযোগ তুলে নেতৃত্বের সমালোচনা করে কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা পদ হারিয়েছেন।

ভোটের আগে দলটির একাধিক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যান। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছেন জি এম কাদের। ভোটে নামিয়ে প্রার্থীদের খবর নেননি। গত নির্বাচনে জামানত হারানো শেরিফা কাদের সংরক্ষিত আসনে দ্বাদশ সংসদে যাবেন– এ খবরে বিরোধিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাদ পড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করে জাপা মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রায় ৭০০ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট দেওয়ার মতো লোক পাওয়া যায়নি। পদত্যাগের জন্য এত নেতাকর্মী কোথা থেকে এলো? শেরিফা কাদেরের আসনে এজেন্ট পাওয়া যায়নি, সেখানেই পদত্যাগের জন্য শফিকুল ইসলাম এত নেতাকর্মী কীভাবে পেলেন? বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করব। যারা পদত্যাগ করতে মিছিল নিয়ে গেছে, তাদের মাত্র সাত-আটজনকে চিনি। জাতীয় পার্টিতে এত কর্মী ছিল, সেটাও জানলাম।

এদিকে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পক্ষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য নেতৃত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়া নেতাকর্মীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন রওশন এরশাদ। লাঙ্গলের প্রার্থী ও তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিগত ৩৭ বছরে তিনি বারবার দলের ক্রান্তিকালে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। গত নির্বাচনে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায়, ভোটে অংশ নেননি।

বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ সমকালকে বলেছেন, বিদায়বেলায় সবাইকে ডেকেছেন রওশন এরশাদ। সবার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন তিনি।

সূত্র: সমকাল