০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমার দল জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাতীয় পার্টি সকল জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাস করি বলেই কখনোই আমরা নির্বাচন বয়কট করিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ এ আশা প্রকাশ করেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে রওশন এরশাদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ওএমএস চাল ও আটা এবং টিসিবি পণ্য কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের দীর্ঘ লাইন এখন এক সাধারণ চিত্র। এ লাইনে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে মধ্যবিত্তরাও।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি আয় না বাড়ে তাহলে সাধারণ বা কম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরো কমে যাবে। তাই এখন প্রবৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জরুরি। সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির ব্যাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গোটা সমাজের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে সামাজিক অস্থিরতাও সামনে নতুন রূপে হাজির হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।’

জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘অনেক উদ্যোগ গ্রহণের পরও স্বাস্থ্য খাত যে নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা করোনা মহামারির সময় স্পষ্ট হয়েছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল। ডেঙ্গু এসে সেই নাজুকতা নির্মমভাবে প্রমাণ করছে। হাসপাতালে বর্তমানে স্যালাইন সংকটে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যালাইন আমদানির আশ্বাস দিলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

অথচ প্লাটিলেট কিট, শয্যা এবং স্যালাইন সংকটে রোগীর অবস্থা সংকটতর হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে সরকারকে আশু হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।

মূল্যস্ফীতিরোধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বিশ্ববাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেড়ে আবার কমেছে এবং কমার এ প্রবণতা অব্যাহত। এর সঙ্গে অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা দেখিয়ে অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে পেরেছে।’

দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকট চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাত বারবার আলোচনায় আসছে। আইএমএফের মানদণ্ডে হিসাব করতে গিয়ে আর্থিক খাতের করুণ অবস্থা আরো প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। সুতরাং বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে অর্থনীতির সংকটের ব্যাখ্যা দেওয়ার আর অবকাশ নেই।’ দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

বিষয়

‘আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি’

প্রকাশিত: ০৫:৫৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আমার দল জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাতীয় পার্টি সকল জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাস করি বলেই কখনোই আমরা নির্বাচন বয়কট করিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ এ আশা প্রকাশ করেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে রওশন এরশাদ বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ওএমএস চাল ও আটা এবং টিসিবি পণ্য কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের দীর্ঘ লাইন এখন এক সাধারণ চিত্র। এ লাইনে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে মধ্যবিত্তরাও।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি আয় না বাড়ে তাহলে সাধারণ বা কম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরো কমে যাবে। তাই এখন প্রবৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জরুরি। সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির ব্যাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গোটা সমাজের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে সামাজিক অস্থিরতাও সামনে নতুন রূপে হাজির হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।’

জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘অনেক উদ্যোগ গ্রহণের পরও স্বাস্থ্য খাত যে নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা করোনা মহামারির সময় স্পষ্ট হয়েছিল। বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল। ডেঙ্গু এসে সেই নাজুকতা নির্মমভাবে প্রমাণ করছে। হাসপাতালে বর্তমানে স্যালাইন সংকটে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যালাইন আমদানির আশ্বাস দিলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

অথচ প্লাটিলেট কিট, শয্যা এবং স্যালাইন সংকটে রোগীর অবস্থা সংকটতর হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে সরকারকে আশু হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।

মূল্যস্ফীতিরোধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘করোনা-পরবর্তী চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বিশ্ববাজারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম বেড়ে আবার কমেছে এবং কমার এ প্রবণতা অব্যাহত। এর সঙ্গে অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা দেখিয়ে অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে পেরেছে।’

দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকট চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাত বারবার আলোচনায় আসছে। আইএমএফের মানদণ্ডে হিসাব করতে গিয়ে আর্থিক খাতের করুণ অবস্থা আরো প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে। সুতরাং বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে অর্থনীতির সংকটের ব্যাখ্যা দেওয়ার আর অবকাশ নেই।’ দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।