০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রমাণ হয়েছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী: মঈন খান

অসহযোগ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি বিএনপির অবস্থানের দৃষ্টান্ত হিসাবে উপস্থাপন করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা পরবর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপির আজকের ঘোষণা নতুন করে এই সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে যে, বিএনপি একটি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল, যারা ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আস্থাশীল হয়ে তাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন পরিচালনা করে থাকে।

মঈন খান আরও বলেন, এই একদলীয় সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের অপশাসন, মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট, আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশকে নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়ার শেষ পর্যায়ে এসে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশী সময় ধরে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি আজ সরকারের ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ কর্মসূচী (সিভিল ডিজওবিডিয়েপ্স) ঘোষণা করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে আওয়ামী বাকশালী সরকার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক গভীর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত করে দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা। সেই উদ্দেশ্যেই দেশের আঠারো কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রয়াসে, অসহযোগের মন্ত্রে দীক্ষিত করে সরকারকে সংঘাতের পথ থেকে বেরিয়ে এসে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ উন্মুক্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দেশবাসী এই আবেদনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে পারে, যা অর্জন করার উদ্দেশ্যে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী আজ রাজপথে নেমেছে। বিএনপির জন্যে নয়, কোনো ব্যক্তির জন্যে নয়, বরং এদেশের সকল মানুষের মৌলিক ভোটের অধিকার তথা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রাম অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথের আন্দোলন চলতেই থাকবে।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট 

বিষয়

প্রমাণ হয়েছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী: মঈন খান

প্রকাশিত: ০১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

অসহযোগ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি বিএনপির অবস্থানের দৃষ্টান্ত হিসাবে উপস্থাপন করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা পরবর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপির আজকের ঘোষণা নতুন করে এই সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে যে, বিএনপি একটি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল, যারা ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আস্থাশীল হয়ে তাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন পরিচালনা করে থাকে।

মঈন খান আরও বলেন, এই একদলীয় সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের অপশাসন, মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট, আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশকে নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়ার শেষ পর্যায়ে এসে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশী সময় ধরে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি আজ সরকারের ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ কর্মসূচী (সিভিল ডিজওবিডিয়েপ্স) ঘোষণা করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে আওয়ামী বাকশালী সরকার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক গভীর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত করে দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা। সেই উদ্দেশ্যেই দেশের আঠারো কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রয়াসে, অসহযোগের মন্ত্রে দীক্ষিত করে সরকারকে সংঘাতের পথ থেকে বেরিয়ে এসে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ উন্মুক্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দেশবাসী এই আবেদনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে পারে, যা অর্জন করার উদ্দেশ্যে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী আজ রাজপথে নেমেছে। বিএনপির জন্যে নয়, কোনো ব্যক্তির জন্যে নয়, বরং এদেশের সকল মানুষের মৌলিক ভোটের অধিকার তথা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রাম অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথের আন্দোলন চলতেই থাকবে।

সূত্র : ঢাকা পোস্ট