০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদের মিথ্যা কথা বলার ‘শাহেন শাহ’: রিজভী

বিএনপি নির্বাচন বানচালে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তিনি মিথ্যা কথা বলার শাহেন শাহ’। উদ্ভট এবং অসংলগ্ন অপপ্রচারের যদি কোনো মহাবিদ্যালয় করা যায় তাহলে তার প্রিন্সিপাল করা যেতে পারে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে।

শনিবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগামী সোমবারের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা না মানলে নাকি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার প্রশ্ন এই সরকারের দলদাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা কোন ক্ষমতা বলে ও কোন আইনে? একটা নীলনকশার পাতানো নির্বাচনকে সুরক্ষা দিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে পরিপত্র জারি করেছে তা সম্পূর্ণরূপে একাধারে অনৈতিক, অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি।

রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন শপথগ্রহণ করেছে সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য। শুধু জরুরি অবস্থা জারির সময় সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ ধারা সমূহের কতিপয় বিধান অর্থাৎ মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যায়। বর্তমানে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় নাই। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই মৌলিক অধিকার স্থগিতকরণের কোনো কর্তৃপক্ষ প্রজাতন্ত্রের নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পরিপত্র সরাসরি সংবিধানের ৩১-৪১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। আমার প্রশ্ন হল- আগামী ১৮ তারিখ থেকে জরুরি অবস্থা জারি হতে যাচ্ছে কি না? কারণ সংবিধানের উল্লিখিত অনুচ্ছেদ শুধু জরুরি অবস্থা অথবা মার্শাল ‘ল’চলাকালে স্থগিত থাকে। দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বা সংবিধান স্থগিত রাখা হয়েছে? দেশের জনগণ সংবিধান পরিপন্থি কোনো নিষেধাজ্ঞা মেনে নেবে না। তাই বলব, অনতিবিলম্বে এই বেআইনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আসলে তারা পুলিশকে দিয়ে পরিকল্পনা মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নিজেদের তৈরি করা নাশকতার মাত্রা বাড়াতে চায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ জানে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিটি এলাকায় অস্ত্রে ডিপো বানিয়েছে।

রিজভী বলেন, বিএনপিসহ সকল বিরোধীদল আন্দোলন করছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশকে বাকশাল থেকে গণতন্ত্রে ফেরানোর জন্য। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। বিএনপি সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতার বিরুদ্ধে। যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত হয়েছে সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতার একচেটিয়া কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

বিষয়

ওবায়দুল কাদের মিথ্যা কথা বলার ‘শাহেন শাহ’: রিজভী

প্রকাশিত: ০৩:১৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপি নির্বাচন বানচালে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তিনি মিথ্যা কথা বলার শাহেন শাহ’। উদ্ভট এবং অসংলগ্ন অপপ্রচারের যদি কোনো মহাবিদ্যালয় করা যায় তাহলে তার প্রিন্সিপাল করা যেতে পারে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে।

শনিবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগামী সোমবারের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা না মানলে নাকি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার প্রশ্ন এই সরকারের দলদাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা কোন ক্ষমতা বলে ও কোন আইনে? একটা নীলনকশার পাতানো নির্বাচনকে সুরক্ষা দিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে পরিপত্র জারি করেছে তা সম্পূর্ণরূপে একাধারে অনৈতিক, অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি।

রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন শপথগ্রহণ করেছে সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য। শুধু জরুরি অবস্থা জারির সময় সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ ধারা সমূহের কতিপয় বিধান অর্থাৎ মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যায়। বর্তমানে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় নাই। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই মৌলিক অধিকার স্থগিতকরণের কোনো কর্তৃপক্ষ প্রজাতন্ত্রের নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পরিপত্র সরাসরি সংবিধানের ৩১-৪১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। আমার প্রশ্ন হল- আগামী ১৮ তারিখ থেকে জরুরি অবস্থা জারি হতে যাচ্ছে কি না? কারণ সংবিধানের উল্লিখিত অনুচ্ছেদ শুধু জরুরি অবস্থা অথবা মার্শাল ‘ল’চলাকালে স্থগিত থাকে। দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বা সংবিধান স্থগিত রাখা হয়েছে? দেশের জনগণ সংবিধান পরিপন্থি কোনো নিষেধাজ্ঞা মেনে নেবে না। তাই বলব, অনতিবিলম্বে এই বেআইনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আসলে তারা পুলিশকে দিয়ে পরিকল্পনা মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নিজেদের তৈরি করা নাশকতার মাত্রা বাড়াতে চায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ জানে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিটি এলাকায় অস্ত্রে ডিপো বানিয়েছে।

রিজভী বলেন, বিএনপিসহ সকল বিরোধীদল আন্দোলন করছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশকে বাকশাল থেকে গণতন্ত্রে ফেরানোর জন্য। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। বিএনপি সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতার বিরুদ্ধে। যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত হয়েছে সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতার একচেটিয়া কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের।

সূত্র : ঢাকাটাইমস