০৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সরকার সংঘাতের পথ পরিহার না করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘হয়তো ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-আগামী প্রজন্মের কাছে কোন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন? তাই সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ব্যবহার নিশ্চিত করি। তা না হলে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করছে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

এসময় মঈন খান বলেন, ‘এ সরকার মনে করছে তারা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে টিকে থাকবে। কিন্তু সেটি না। স্বাধীনতার বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের মানুষ ভেবেছিল বাংলাদেশ হবে একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু তার ঠিক আগ মুহূর্তে রাজাকার আলবদররা এক হয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে মেধাশূন্য করে ফেলা। সেজন্যই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। যা বিশ্বে বিরল ঘটনা। আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে বাস করছি।’

মঈন খান বলেন, ‘আজ আমরা কোন বাংলাদেশে আছি? যেখানে ভিন্নমতের কথা বলার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ চায় তারা ৫ বছরে একবার ভোট দিতে। তারা নিজেরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। কিন্তু সেই ভোটাধিকার গেলো কোথায়?’

মঈন খান আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন নতুনভাবে বাংলাদেশে কেনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। এজন্য বিএনপি নাকি হতাশ? তাহলে কি আরও নিষেধাজ্ঞা এলে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিত? কেনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে?’

মঈন খান বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ এ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি শুধু ফলাফল ঘোষণা করবে। তফসিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা সত্যের পথে আছি। জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের বিজয় হবেই ইনশা আল্লাহ।’

বিষয়

‘সরকার সংঘাতের পথ পরিহার না করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’

প্রকাশিত: ০১:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘হয়তো ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-আগামী প্রজন্মের কাছে কোন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন? তাই সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ব্যবহার নিশ্চিত করি। তা না হলে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করছে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

এসময় মঈন খান বলেন, ‘এ সরকার মনে করছে তারা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে টিকে থাকবে। কিন্তু সেটি না। স্বাধীনতার বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের মানুষ ভেবেছিল বাংলাদেশ হবে একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু তার ঠিক আগ মুহূর্তে রাজাকার আলবদররা এক হয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশকে মেধাশূন্য করে ফেলা। সেজন্যই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। যা বিশ্বে বিরল ঘটনা। আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে বাস করছি।’

মঈন খান বলেন, ‘আজ আমরা কোন বাংলাদেশে আছি? যেখানে ভিন্নমতের কথা বলার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ চায় তারা ৫ বছরে একবার ভোট দিতে। তারা নিজেরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। কিন্তু সেই ভোটাধিকার গেলো কোথায়?’

মঈন খান আরও বলেন, ‘অনেকেই বলেন নতুনভাবে বাংলাদেশে কেনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। এজন্য বিএনপি নাকি হতাশ? তাহলে কি আরও নিষেধাজ্ঞা এলে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিত? কেনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে?’

মঈন খান বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের জনগণ এ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি শুধু ফলাফল ঘোষণা করবে। তফসিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা সত্যের পথে আছি। জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের বিজয় হবেই ইনশা আল্লাহ।’