মৌলভীবাজার জেলার মনু, ধলাই, কুশিয়ারা ও জুড়ী নদ-নদীর চারটি স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফুলেফেঁপে উঠছে হাকালুকি হাওর। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার হাকালুকিপারের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোয় পানি ঢুকছে। এ ছাড়া জুড়ী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলায় ২২টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে টিলাধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী পরিবারকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে উপজেলার হাকালুকি হাওরপারের তালিমপুর, বর্ণী, সুজানগর, দাসেরবাজার, উত্তর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর প্রায় সম্পূর্ণ এবং অন্যান্য ইউনিয়নের আংশিক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পানিধারসহ বেশ কয়েকটি স্থান পানিতে তলিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজার সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারে মনু, ধলাই, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর চারটি স্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল নয়টার তথ্য অনুযায়ী, মনু নদ মৌলভীবাজার শহরের কাছে চাঁদনীঘাটে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কমলগঞ্জে ধলাই নদ রেলওয়ে ব্রিজের কাছে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কুশিয়ারা নদী শেরপুরে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবহিত হচ্ছে।
পাউবো মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, মনু ও ধলাই নদে উজানের পানি ঢুকছে। তবে পানি বাড়লেও মনু নদের বাঁধ নিয়ে তেমন ঝুঁকি নেই। ধলাই নিয়ে ঝুঁকি আছে। ধলাই নদের অনেক স্থানে বাঁধের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।