০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আস্থাভোটে হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

নেপালের সংসদে আস্থাভোটে হেরে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর হেরে গেছেন তিনি। ফলে ১৯ মাস ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করতে হচ্ছে তাকে। খবর এপি।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশটির সংসদে এই আস্থাভোট হয়। ভোটে হারায় এখন বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে পুষ্প দাহালকে।

গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দহলের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউএমএল। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে পুষ্পকে সংসদে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়।

নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি আস্থাভোটে জিততে চায় তাহলে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু শুক্রবারের এই ভোটে পুষ্প দাহাল পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ আইনপ্রণেতা। একজন না ভোট দিয়েছেন। এদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন ২৫৮ আইনপ্রণেতা।

পুষ্প দহলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মেলায় দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে।

ইউএমএল এবং নেপালি কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খড়গ প্রসাদ অলিকে নির্বাচিত করবে তারা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নেপালে নির্বাচন হয়। এতে পুষ্প কমল দহলের দল সংসদে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হতে হতে হয় পুষ্প কমল দহলকে। তবে ওই সময় থেকেই তার জোটটি নড়েবড়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত এ বছরের জুলাইয়ে এসে তাকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে।

সূত্র: ঢাকা মেইল

বিষয়

আস্থাভোটে হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৩৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নেপালের সংসদে আস্থাভোটে হেরে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর হেরে গেছেন তিনি। ফলে ১৯ মাস ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করতে হচ্ছে তাকে। খবর এপি।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশটির সংসদে এই আস্থাভোট হয়। ভোটে হারায় এখন বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে পুষ্প দাহালকে।

গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দহলের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউএমএল। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে পুষ্পকে সংসদে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়।

নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি আস্থাভোটে জিততে চায় তাহলে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু শুক্রবারের এই ভোটে পুষ্প দাহাল পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ আইনপ্রণেতা। একজন না ভোট দিয়েছেন। এদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন ২৫৮ আইনপ্রণেতা।

পুষ্প দহলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মেলায় দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে।

ইউএমএল এবং নেপালি কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খড়গ প্রসাদ অলিকে নির্বাচিত করবে তারা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নেপালে নির্বাচন হয়। এতে পুষ্প কমল দহলের দল সংসদে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হতে হতে হয় পুষ্প কমল দহলকে। তবে ওই সময় থেকেই তার জোটটি নড়েবড়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত এ বছরের জুলাইয়ে এসে তাকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে।

সূত্র: ঢাকা মেইল