১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, ইসরায়েলকে দুই শর্ত দিলো হামাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস ইসরায়েলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো— তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে। দ্বিতীয়টি হলো— ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরায়েল হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরায়েল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত শুক্রবার গাজা সিটিতে ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এরপরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার দাবি জানিয়েছে, গাজায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইসরায়েলকে। এজন্য একটি বর্ডার ক্রসিং খুলে দিতে বলেছে দেশটি।

সূত্র: রয়টার্স

বিষয়

যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, ইসরায়েলকে দুই শর্ত দিলো হামাস

প্রকাশিত: ০৩:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস ইসরায়েলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো— তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে। দ্বিতীয়টি হলো— ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরায়েল হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরায়েল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত শুক্রবার গাজা সিটিতে ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এরপরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার দাবি জানিয়েছে, গাজায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইসরায়েলকে। এজন্য একটি বর্ডার ক্রসিং খুলে দিতে বলেছে দেশটি।

সূত্র: রয়টার্স