১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরী মণির সঙ্গে রাত কাটানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরী মণির বাসায় নিয়মিত এবং স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে রাজারবাগের বাসায় নিয়ে রাত কাটানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি হারালেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গোলাম সাকলায়েনকে ঝিনাইদহ জেলার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন গুলশান গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপ-সচিব পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত স্মারকে বিভাগীয় মামলায় তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’-এর বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরী মণির সঙ্গে পরিচয়। যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরী মণির বাসায় নিয়মিত রাত কাটাতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে (দিন-রাত মিলিয়ে) নায়িকা পরী মণির বাসায় অবস্থান করেছেন তৎকালীন ডিবির এই কর্মকর্তা।

সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ওসাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, গত ১ আগস্ট, ২০২১ তারিখে তার পূর্ব পরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমণি তার রাজারবাগে সরকারি বাসায় যায় এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে, পরদিন ২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে বাসা ত্যাগ করেন।

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্ব বহির্ভূত চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিলেন গোলাম সাকলায়েন। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও পরী মণির সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক, জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজের স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। উল্লেখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ করা হয়েছে।

পরী মণির সঙ্গে রাত কাটানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে

প্রকাশিত: ০৩:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরী মণির বাসায় নিয়মিত এবং স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে রাজারবাগের বাসায় নিয়ে রাত কাটানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি হারালেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গোলাম সাকলায়েনকে ঝিনাইদহ জেলার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন গুলশান গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপ-সচিব পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত স্মারকে বিভাগীয় মামলায় তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’-এর বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরী মণির সঙ্গে পরিচয়। যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরী মণির বাসায় নিয়মিত রাত কাটাতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে (দিন-রাত মিলিয়ে) নায়িকা পরী মণির বাসায় অবস্থান করেছেন তৎকালীন ডিবির এই কর্মকর্তা।

সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ওসাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, গত ১ আগস্ট, ২০২১ তারিখে তার পূর্ব পরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমণি তার রাজারবাগে সরকারি বাসায় যায় এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে, পরদিন ২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে বাসা ত্যাগ করেন।

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্ব বহির্ভূত চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিলেন গোলাম সাকলায়েন। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও পরী মণির সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক, জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজের স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। উল্লেখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ করা হয়েছে।