চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে, যা গত ডিসেম্বর বা জানুয়ারির তুলনায় বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি এবং জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে।
রেমিট্যান্স কেনার ঘোষিত দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হলেও ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কেনা যাচ্ছে। এ কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এক মাস হিসেবে জানুয়ারিতে আসা রেমিট্যান্স গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রেমিট্যান্স বাড়লেও রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের দিন বুধবার শেষে রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।
এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়নের ওপর উঠেছিল। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমেছে।
তবে দেশের বাইরে শ্রমিক যাওয়ার তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে কম। ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৩ লাখের বেশি শ্রমিক দেশের বাইরে যান। গত বছর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৯২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ৬৩ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি।
রেমিট্যান্সের এ পরিমাণ অবশ্য ২০২১ সালের তুলনায় কম। মূলত হুন্ডিতে ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে আশানুরূপ হারে রেমিট্যান্স বাড়ছে না।