০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলেন ছাত্রলীগ নেতা

কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের খরিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি শহরের হাটিরপার এলাকার মৃত আমজাদ হোসেুন বুলুর ছেলে। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা কুড়িগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, আমরা সোহানসহ তিনজন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে জিপ গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের জিপ গাড়ির সামনে এসে ছিটকে পড়ে। তখন আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে উদ্ধার করে একটি অটোতে করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুসহ তার দলবল আমাদের জিপ গাড়ির পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সোহান।

তিনি আরও বলেন, পরে আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে সোহানকে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দু নিজেই সদর হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের সামনে এসেও বিন্দু ও তার লোকজন আবারও সোহানকে মারধর শুরু করেন। আমরা এসে আহত সোহানকে হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়

আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশিত: ০৯:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের খরিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তিনি শহরের হাটিরপার এলাকার মৃত আমজাদ হোসেুন বুলুর ছেলে। তিনি বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা কুড়িগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, আমরা সোহানসহ তিনজন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে জিপ গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের জিপ গাড়ির সামনে এসে ছিটকে পড়ে। তখন আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে উদ্ধার করে একটি অটোতে করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দুসহ তার দলবল আমাদের জিপ গাড়ির পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সোহান।

তিনি আরও বলেন, পরে আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে সোহানকে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দু নিজেই সদর হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের সামনে এসেও বিন্দু ও তার লোকজন আবারও সোহানকে মারধর শুরু করেন। আমরা এসে আহত সোহানকে হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।