১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধস্তাধস্তি করে আদালত ভবন থেকে পড়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী

ছবি: ইন্টারনেট

স্ত্রীকে জোর করে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আদালত প্রাঙ্গণে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে তিন তলা থেকে পড়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মারাত্মক আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

মামুন গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং তার স্ত্রী সীমা খাতুন একই উপজেলার রামদেবপুর মালিপাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে।

পারবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে মামুন ও সীমার বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ বছর পার হলেও তাদের কোনো সন্তান না হওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী তার স্বামীর সাথে সংসার না করার জন্য পারিবারিকভাবে জানান। স্বামী মামুন তার স্ত্রীকে তালাক দিতে না চাওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে সীমা খাতুন তার স্বামীর নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতনসহ চারটি মামলা করেন।

আজ সোমবার মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুক মামলা নিষ্পত্তির দিন ধার্য ছিল। বিজ্ঞ বিচারক জুয়েল রানা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের নিমিত্তে মামলা নিষ্পত্তির রায় দেন। রায় শেষে আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় স্ত্রী সীমা খাতুনকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মামুন। সীমা খাতুন তার সংসারে যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাদের দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজনেই তিনতলা থেকে নিচে পড়ে যান। পরে উপস্থিত জনতা দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বিষয়

ধস্তাধস্তি করে আদালত ভবন থেকে পড়ে গেলেন স্বামী-স্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

স্ত্রীকে জোর করে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আদালত প্রাঙ্গণে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে তিন তলা থেকে পড়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মারাত্মক আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

মামুন গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং তার স্ত্রী সীমা খাতুন একই উপজেলার রামদেবপুর মালিপাড়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে।

পারবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে মামুন ও সীমার বিয়ে হয়। বিয়ের ১০ বছর পার হলেও তাদের কোনো সন্তান না হওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী তার স্বামীর সাথে সংসার না করার জন্য পারিবারিকভাবে জানান। স্বামী মামুন তার স্ত্রীকে তালাক দিতে না চাওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে সীমা খাতুন তার স্বামীর নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতনসহ চারটি মামলা করেন।

আজ সোমবার মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুক মামলা নিষ্পত্তির দিন ধার্য ছিল। বিজ্ঞ বিচারক জুয়েল রানা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের নিমিত্তে মামলা নিষ্পত্তির রায় দেন। রায় শেষে আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় স্ত্রী সীমা খাতুনকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মামুন। সীমা খাতুন তার সংসারে যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাদের দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজনেই তিনতলা থেকে নিচে পড়ে যান। পরে উপস্থিত জনতা দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।