টাঙ্গাইল-৫ আসনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মিছিলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীরা গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার অনুসারীরা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গুলির ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, যুবলীগের কর্মী এমদাদুল ও সিয়াম। তাদের মধ্যে রোকনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
টাঙ্গাইল- ৫ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর অর রশিদ এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদার বিপ্লব বলেন, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী সিয়াম ও এমদাদুল টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে রোকনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারণা করছি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুনুর অর রশিদ বলেন, রাতে বাঘিল এলাকায় নৌকার পক্ষে তার সমর্থকরা মিছিল বের করেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের সমর্থকরা মিছিলে অতর্কিত গুলি চালান। গুলিতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
টাঙ্গাইল সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতীকের প্রার্থীর দুই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ আসনে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুরাদ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র-মাথাল), মোজাম্মেল হক (জাতীয় পার্টি-লাঙল), অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব (স্বতন্ত্র-কেটলি), হাসরত খান ভাসানী (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-একতারা), শরিফুজ্জামান খান (তৃণমূল বিএনপি-সোনালী আঁশ) ও তৌহিদুর রহমান চাকলাদার (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-নোঙ্গর)। তবে জামিলুর রহমান মিরন (স্বতন্ত্র-ট্রাক) নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট