ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত এনবিআর’র সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ১১৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুই হাজার ৩৬৭ শতাংশ জমি ও চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, মতিউর ও তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসাব বিবরণীর জন্য নোটিশ দেয় দুদক। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে এ হিসাব দিতে বলা হয়েছে।
মতিউরের সব হারানোর পেছনে রয়েছে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইফাতের ‘ছাগলকাণ্ড’। একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলের বিপুল পরিমাণ টাকায় গরু-ছাগল কেনা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে ওই সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে মতিউরের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে।
এরপর মতিউরকে এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদও হারাতে হয়েছে তাকে।
গত ২৪ জুন মতিউর, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। যদিও ইতোমধ্যে মতিউর ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত এবং ইরফান দেশত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মতিউরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে শতকোটি টাকা। তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান। এ দম্পতির মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে
সূত্র: আরটিভি অনলাইন