জানা গেছে, একটি ছবি ২০২৩ সালে হজের সময়ে সৌদি আরবে তোলা। অপর ছবিটি ২০২২ সালের আগস্টে আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর নিয়োগের পর তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে যান মতিউর রহমান। বুধবার ছবি দুটি ভাইরাল হলেও গত কয়েকদিন ধরেই দুইজনের সখ্যর বিষয়ে ব্যাংকপাড়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
মতিউর রহমান ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ওই সময় অর্থসচিব ছিলেন। তার জোর সুপারিশে তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হয়েছিলেন। আর মতিউরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বেনামে পুঁজিবাজারে ২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমন আলোচনার মধ্যেই এই ছবি সামনে এলো।
এ বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হকের মাধ্যমে লিখিতভাবে গভর্নরের কাছে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয়- তিনি অর্থসচিব থাকা অবস্থায় মতিউর রহমানকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক বানাতে হস্তক্ষেপ এবং মতিউরের মাধ্যমে বেনামে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে তার মন্তব্য কী? এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এ প্রশ্নের জবাবে গভর্নর জানিয়েছেন এসব অভিযোগ সঠিক না।
মতিউর রহমান কিছুদিন ধরে আলোচনায় আসেন তার ছেলের কারণে। কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে।
ছেলের ছাগলকাণ্ডে বাবার পরিচয় নিশ্চিতের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন মতিউর। সবশেষ গুঞ্জন রয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা দিয়ে গোপনে দেশ ছেড়েছেন তিনি।