বাজারে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজারে চালে স্বস্তি আছে বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে আমি কোনো অস্থিরতা পাইনি, কোনো অভিযোগও পাইনি। তেলের মূল্য ১৭৩ টাকা থেকে ১৬৩ টাকা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। খোলাবাজারে ১৪৯ টাকায় তেল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যাতে সরবরাহ ঠিক থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।
আহসানুল ইসলাম বলেন, বাজারে চিনি, ডালসহ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের স্বল্পতা বা সংকট নেই। কাজেই এটিকে আমি অবশ্যই স্বস্তি বলবো। লেবু একটি মৌসুমি পণ্য। কৃষিপণ্যগুলো মৌসুমি হয়। আপনাদের বলেছি, আমাদের কিছু মৌসুমি পণ্য আছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিয়ে আমি আজও কথা বলেছি। কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে আজও কথা বলেছি, যাতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি কাজ। শুল্ক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমদানি পণ্যের বাজারে বিতরণ নিশ্চিত করা। পণ্য আমদানি কিংবা উৎপাদনও আমাদের কাজ না। দ্বিতীয় হলো, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন যেসব পণ্য এখানে উৎপাদিত হচ্ছে, যেমন তেল, চিনিসহ অন্যান্য জিনিস, সেগুলোর বাজারে সরবাহ যাতে মসৃণ থাকে। কৃষি উৎপাদিত পণ্য কৃষি বিপণন বিভাগ দেখে। আমরা বাজার তদারক করি। বাজার তদারক করে আমরা যেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, অনেকেই আমাদের বাজারে যাওয়াটা লম্ফঝম্ফ মনে করছেন। কেউ মনে করছেন, নতুন আসছেন শিখতে, শিক্ষানবিশ হিসেবে দেখছেন। আমরা এ সমালোচনাকে গুরুত্ব দিই না, আমরা নিজেদের চেষ্টার বিষয়টি দেখি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাইকারি বাজার, খুচরা বাজারে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছে, আগে কী সাপ্লাই চেইন ছিল না? আমি কখনোই বলিনি, সাপ্লাই চেইন ছিল না, ভ্যালু চেইন ছিল না। এই ভেল্যু চেইনের উপকরণগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।