১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট ১০ নম্বর কূপে জ্বালানি তেলের সন্ধান

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে চারটি স্তরে ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া, সেখানকার একটি কূপে জ্বালানি তেলের সন্ধান মিলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট-১০ নম্বর কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এর ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।

তিনি বলেন, ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে, যেখানে গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি বোঝা গেছে। প্রাথমিকভাবে এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষ হলে তেলের মজুত জানা যাবে।

নসরুল হামিদ বলেন, ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর গ্যাস পাওয়া যাবে। গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।

বিষয়

সিলেট ১০ নম্বর কূপে জ্বালানি তেলের সন্ধান

প্রকাশিত: ০৭:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে চারটি স্তরে ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া, সেখানকার একটি কূপে জ্বালানি তেলের সন্ধান মিলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট-১০ নম্বর কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এর ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।

তিনি বলেন, ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে, যেখানে গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি বোঝা গেছে। প্রাথমিকভাবে এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষ হলে তেলের মজুত জানা যাবে।

নসরুল হামিদ বলেন, ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর গ্যাস পাওয়া যাবে। গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।