ঢাকার বাজারে এক দিনের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা বেড়েছে। কোনো কোনো বাজারে দাম বেড়েছে আরও বেশি। ভারত সরকার নিজের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে গতকাল শুক্রবার এমন খবর আসার পর থেকেই এই পণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়ার পর আজ শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজের বাজার রীতিমতো তেতে উঠেছে।
ক্রেতা কামরুল ইসলামের বলেন, ‘আমি একটা মেস চালাই। কাল সকালেও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় কিনেছি। আজকে সেই পেঁয়াজ নিলাম ১৮০ টাকায়। ভাবছিলাম নতুন পেঁয়াজ আসতেছে, এখন আর দাম বাড়বে না, বরং কমবে। এ জন্য আগেভাগে পেঁয়াজ কিনেও রাখিনি। এখন যে অবস্থা হলো, তাতে বিশেষ কী আর বলব।’
বাজারে যেসব ব্যবসায়ী দাম একটু কম রাখছেন, তাঁদের কাছে আগের কেনা পেঁয়াজ ছিল। নতুন যেসব পেঁয়াজ বাজারে আসছে, সেসব পেঁয়াজের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা রাতারাতি একযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।