সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট না থাকলে জাতিসংঘ এখন আর পর্যবেক্ষক পাঠায় না বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডুজারিক আরও বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিবকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠি তিনি দেখেননি। তবে জাতিসংঘ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ে এই ব্রিফিং হয়। এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর। গণতান্ত্রিক মিত্রদের থেকে সব ধরনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে কি না।’
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘না। খুব সম্প্রতি…আমার যতটুকু মনে পড়ে, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট না থাকলে জাতিসংঘ আর পর্যবেক্ষক পাঠায় না।’
ব্রিফিংয়ে ওই সাংবাদিক আরেকটি প্রশ্ন করেন, ‘কনভেনশন অন দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড পানিশমেন্ট অব দ্য ক্রাইম অব জেনোসাইড এবং ইন্টারন্যাশনাল ডে অব কমেমোরেশন অ্যান্ড ডিগনিটি অব দ্য ভিকটিমস অব দ্য ক্রাইম অব জেনোসাইডের ৭৫তম বর্ষপূর্তি পালন করবে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনী (পাকিস্তান) যে কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এখনো পদক্ষেপ নেয়নি জাতিসংঘ। আমি এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।’
ব্রিফিংয়ে আরেক সাংবাদিক স্টিফেন ডুজারিকের কাছে করা প্রশ্নে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সমর্থন চেয়ে, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চাপকে সাজানো বিষয় উল্লেখ করে মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? বিরোধী দলের নেতাদের কারাগারে রেখে যে সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাকে কি মহাসচিব পুরস্কৃত করবেন?’
জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমি শুধু আপনাকে এতটুকু বলতে পারি, যেটা আমি আগেও বিস্তারিতভাবে বলেছি—আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি।’