বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এর নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে সারা দেশে এখন পর্যন্ত পুলিশসহ নিহত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের এসব ঘটনা ঘটেছে।
সারা দেশে নিহতদের মধ্যে- নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৪ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৪ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৭৯ জন নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবির এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। একই সঙ্গে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।