ক্রিকেটীয় ইতিহাসের দিক থেকে দুই দলই মোটামুটি নবীন। তবে নেপাল এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিচিত মুখ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কিন্তু মঙ্গোলিয়ার বেলায় ‘নতুন দল’ তকমা ভালোভাবেই যায়। এই নতুন দলটির বিপক্ষে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন হিমালয়ের দেশ নেপালের ক্রিকেটাররা। সেই তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বেশ কয়েককটি রেকর্ড।
হাংজুতে আজ এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের ম্যাচে আজ ২৭৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে নেপাল। টি-টোয়েন্টিতে এত বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড আর নেই। তবে ব্যবধান দেখে পুরোটা বোঝা যাবে না। এই ম্যাচে কী হয়নি! ৩৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছেন নেপালিজ ব্যাটার কুশল মাল্লা। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক।
রেকর্ড এখানেই শেষ নয়। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় নেপাল। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই প্রথমবার কোনো দলের ৩০০ ছাড়ানোর ঘটনা এটি। এছাড়া মাত্র ৯ বলেই ফিফটি হাঁকিয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন নেপালের আরেক ব্যাটার দিপেন্দ্র সিং।
অথচ ম্যাচের শুরুটা এমন ছিল না। প্রথম ৮ ওভারের মধ্যে কুশল ভুর্তেল এবং আসিফ শেখের উইকেট হারায় নেপাল। তখনও নেপালিদের রান রেট ছিল ১০-এর কাছাকাছি। এজন্য অবশ্য মঙ্গোলিয়ান বোলারদের দায় বেশি। প্রচুর এক্সট্রা দেওয়ার পাশাপাশি বাজে লেংথে বল করেছেন তারা। তবে রোহিত পাউডেলের সঙ্গে কুশল মাল্লা যোগ দিতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। মাত্র ৬৫ বলে ১৯৩ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়েন দুজনে। ৩৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মাল্লা। আর তাতেই ভারতের রোহিত শর্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার এবং চেক রিপাবলিকের সুদেশ বিক্রামাসেকারার ৩৫ বলে সেঞ্চুরির যৌথ রেকর্ড ভেঙে যায়।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাল্লার সঙ্গে ঝড় তোলেন দিপেন্দ্র সিং। মাত্র ১১ বলে ৫৫ রান তুলে ফেলেন তারা, স্ট্রাইক রেট ৫০০! এর মধ্যে দিপেন্দ্র একাই ৮ ছক্কা হাঁকিয়ে ৯ বলে ফিফটি তুলে নেন।
নেপালের ইনিংস থামলেও মঙ্গোলিয়ার দুর্দশা কাটেনি। মাত্র ৭৯ বল স্থায়ী হয় তাদের লড়াই। এই সময়ে মাত্র ৪১ রান তুলতে পারে তারা। এর মধ্যে কেবল একজন ব্যাটার দুই অঙ্কের দেখা পান। কোনো জুটিই ৯ রানের বেশি হয়নি। সব ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৮ রান। বাকি ২৩ রান এসেছে এক্সট্রা থেকে। দুই দলের বোলাররা বাড়তি খরচ করেন ৫২ রান।