আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৯ম আসর। তবে ওয়ার্ল্ডকাপের আগে ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসসি)। জেগেছে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাও।
অস্থিরতা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডে (ইউএসএসি)। বোর্ডের চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মুরাদের অব্যাহতি। মুরাদকে প্রধান নির্বাহী হিসেবে আইসিসি সুপারিশ করেছিল। চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতেই তাকে সরিয়ে দেয়ায় আইসিসি পুনর্বহাল করতে বলেছিল। কিন্তু ইউএসএ ক্রিকেটের পরিচালনা পর্ষদ সে নির্দেশনায় কর্ণপাত করেনি। এতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটিও (ইউএসওপিসি)। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিদের্শনা না মানায় ইউএসএকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ। তবে সামনেই বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থাকায় আপাতত সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে পূর্ণ সদস্য দেশগুলো।
অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে একটি সূত্র ক্রিকবাজকে বলেন, ‘তারা (বোর্ড কর্তারা) মনে করেন, প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যান, তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ও জড়িয়ে যায়। যে কারণে ক্রিকেট বড় হচ্ছে না। তারা নির্দিষ্ট একটি পদে নির্বাচিত হতে টাকা খরচ করেন। যে কারণে কার্যক্রমে নাক গলানো নিজেদের অধিকার মনে করেন। তারা বুঝতে চান না বোর্ডের চরিত্র কী হয় আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা সীমানাও আছে।’
২০২৪ টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ১লা জুন। ২০ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টের ১৬টি ম্যাচ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র।