দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। রংপুরের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বিদেশি রিক্রুট বাবর আজম। পাকিস্তানি এই ব্যাটার খেলেছেন ৪৬ বলে ৬২ রানের ইনিংস। শেষদিকে দারুণ এক ক্যামিও খেলেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। ফলে বড় সংগ্রহ গড়তে সমস্যা হয়নি রংপুরের। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেখ মেহেদীর ঘূর্ণিতে ঢাকার ইনিংস শেষ ১০৪ রানে। ফলে ৭৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ঢাকার। কোনো রান না করেই ফিরে যান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। এরপর দারুণ খেলতে থাকা সাইম আইয়ুব ফিরেছেন ১৭ রান করে। এই দুজনকেই আউট করেছেন ওমরজাই। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন লাসিথ ক্রুসপুল্লেও। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি। মেহেদীর বলে লফটেড শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ব্র্যান্ডং কিংকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
পরের ওভারে মোহাম্মদ নবি আউট করেছেন নাইম শেখকে। ফলে ৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দলটি। পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও অ্যালেক্স রস। দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মোসাদ্দেক। তিনি মাত্র ১৫ রান করে বোল্ড হন হাসান মাহমুদের বলে। পরের বলে দারুণ বাউন্সারে ইরফান শুক্কুরকে প্রলুব্ধ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন হাসান। হালকা চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামা হয়নি শেষ ব্যাটার তাসকিন আহমেদের।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই তাসকিন আহমেদকে কাভার দিয়ে চার মেরে রানের খাতা খোলেন ব্র্যান্ডন কিং। পরের ওভারে শরিফুল ইসলামকে লং অনের ওপর দিয়ে প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন কিং। অবশ্য তার ইনিংস বেশি দূর এগোতে দেননি তাসকিন। এই পেসারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে সীমানার কাছে বাবুর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ১৩ বলে ২০ রান করা কিং।
এরপর আরাফত সানি ফিরিয়েছেন রনি তালুকদারকে। ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটার ৭ বলে ১১ রান করে সানির ফুলার লেংথ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। এরপর রংপুরের হাল ধরেন বাবর ও সোহান। এই দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙেন সানি। সোহান ২৪ বলে ২৬ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন।
একই ওভারে নবিকেও আউট করেছেন সানি। এই স্পিনারের লেগ স্টাম্পে করা বল পুশ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুরকে ক্যাচ দিয়েছেন এই আফগান ব্যাটার। এরপরও এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন বাবর। তিনি ৪১ বলে তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। গুনাথিলাকার ঝুলিয়ে দেয়া বল লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মেহরব হোসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।
শেষদিকে দারুণ এক ক্যামিও খেলেছেন ওমরজাই। তার ১৫ বলে ৩২ রানের দারুণ ইনিংস থেমেছে শরিফুলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ডিপ অঞ্চলে ক্রুসপুল্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে। রান বাড়াতে থাকা শামীম পাটোয়ারি বাবুর করা শেষ ওভারের প্রথম বলে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন রসের হাতে। রিপন মন্ডল রান আউট হয়েছেন শেখ মেহেদীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। মেহেদী ৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে রংপুরের সংগ্রহ ১৮৩ রানে পৌঁছে দিয়েছেন। ৮ উইকেট পড়ে গেলেও এদিন ব্যাটিংয়ে নামেননি সাকিব।
সূত্র: ক্রিকফ্রেঞ্জি