১২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

দুবাইতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ৪ উইকেটের জয়ে ভারতকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে টাইগাররা।

শুক্রবার সেমিফাইনালে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৮৮ রানেই অলআউট হয় ভারত। ভারতের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। তখনই বিপদে পড়া বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন দুই টাইগার ব্যাটার আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। এই জুটির ১৩৮ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছেঁ যায় বাংলাদেশ।

এর আগে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক হয়ে সাজঘরে ফিরে যান জিসান আলম। তার বিদায়ে ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন আশিকুর রহমান শিবলি ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে এই জুটিও বেশিদূর এগোতে পারেনি। দলীয় ২১ রানে রিজওয়ানের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ১৯ বলে ১৩ রান করা রিজওয়ান তিওয়ারির বলে শচীন দাসকে ক্যাচ প্রাকটিস করিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।

২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরে যান আশিকুর রহমান শিবলি। দলীয় ৩৪ রানে ২২ বলে মাত্র ৭ রান করে রনা আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শিবলি।

মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় বাংলাদেশ।শঙ্কা জাগে ম্যাচ হারের। এ সময় দলের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন দুই টাইগার ব্যাটার আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। এই দুই ব্যাটারের ১৩৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১৭২ রানে আরিফুল ইসলামের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।

সেঞ্চুরির আশা জাগানো আরিফুল ৯০ বলে ৯৪ রান করে রাজ লিমবানির শিকার হয়ে ফিরে যান সা্জঘরে। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।আরিফুলের পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান আহরার আমিনও। ১০১ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

তবে এই দুই ব্যাটার ফিরে গেলেও জয় পেতে আর অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ভারত। নিজের প্রথম ওভারেই আদার্শ সিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মারুফ মৃধা। আদর্শের বিদায়ে ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।

আদর্শের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিও। তাকেও ফেরান মারুফ মৃধা। মারুফের বলে ডিপ ফাইন লেগে মোহাম্মদ শিহাব জেমসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান আর্শিন কুলকার্নি।

এই দুই ওপেনারের পর নিজের চতুর্থ ওভারে ভারত দলের অধিনায়ক উদয় শাহারানকেও ফেরান মারুফ। মারুফের বলে আশিকুর রহমান শিবলির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে পথ ধরেন সাজঘরের।

মারুফের পর ভারতের শিবিরে আঘাত হানেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ২২ বলে ১৬ রান করা শচিন দাসকে ফেরান তিনি। শচিনের বিদায়ে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত।

৩৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খান। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন প্রিয়ানসু মলিয়া।

প্রিয়ানসু মলিয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন অ্যারাভেলি অ্যাভানিস। রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত।

৬১ রানে ৬ উইকেট যাওয়ার পর জুটি গড়েন মুশের খান ও মুরুগান অভিশেক। ১০৮ বলে ৮৪ রানের জুটিতে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে তিন রান যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।

মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার মারুফ মৃধা। তাছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুহানাতদৌলা বর্ষণ ও শেখ জীবন।

বিষয়

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০১:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

দুবাইতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ৪ উইকেটের জয়ে ভারতকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে টাইগাররা।

শুক্রবার সেমিফাইনালে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৮৮ রানেই অলআউট হয় ভারত। ভারতের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। তখনই বিপদে পড়া বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন দুই টাইগার ব্যাটার আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। এই জুটির ১৩৮ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছেঁ যায় বাংলাদেশ।

এর আগে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক হয়ে সাজঘরে ফিরে যান জিসান আলম। তার বিদায়ে ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন আশিকুর রহমান শিবলি ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে এই জুটিও বেশিদূর এগোতে পারেনি। দলীয় ২১ রানে রিজওয়ানের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ১৯ বলে ১৩ রান করা রিজওয়ান তিওয়ারির বলে শচীন দাসকে ক্যাচ প্রাকটিস করিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।

২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরে যান আশিকুর রহমান শিবলি। দলীয় ৩৪ রানে ২২ বলে মাত্র ৭ রান করে রনা আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শিবলি।

মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় বাংলাদেশ।শঙ্কা জাগে ম্যাচ হারের। এ সময় দলের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন দুই টাইগার ব্যাটার আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। এই দুই ব্যাটারের ১৩৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ১৭২ রানে আরিফুল ইসলামের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।

সেঞ্চুরির আশা জাগানো আরিফুল ৯০ বলে ৯৪ রান করে রাজ লিমবানির শিকার হয়ে ফিরে যান সা্জঘরে। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।আরিফুলের পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান আহরার আমিনও। ১০১ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

তবে এই দুই ব্যাটার ফিরে গেলেও জয় পেতে আর অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ভারত। নিজের প্রথম ওভারেই আদার্শ সিংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মারুফ মৃধা। আদর্শের বিদায়ে ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।

আদর্শের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিও। তাকেও ফেরান মারুফ মৃধা। মারুফের বলে ডিপ ফাইন লেগে মোহাম্মদ শিহাব জেমসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান আর্শিন কুলকার্নি।

এই দুই ওপেনারের পর নিজের চতুর্থ ওভারে ভারত দলের অধিনায়ক উদয় শাহারানকেও ফেরান মারুফ। মারুফের বলে আশিকুর রহমান শিবলির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে পথ ধরেন সাজঘরের।

মারুফের পর ভারতের শিবিরে আঘাত হানেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ২২ বলে ১৬ রান করা শচিন দাসকে ফেরান তিনি। শচিনের বিদায়ে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত।

৩৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খান। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন প্রিয়ানসু মলিয়া।

প্রিয়ানসু মলিয়ার পর প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন অ্যারাভেলি অ্যাভানিস। রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত।

৬১ রানে ৬ উইকেট যাওয়ার পর জুটি গড়েন মুশের খান ও মুরুগান অভিশেক। ১০৮ বলে ৮৪ রানের জুটিতে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে তিন রান যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।

মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার মারুফ মৃধা। তাছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুহানাতদৌলা বর্ষণ ও শেখ জীবন।