প্রতিটি দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে বিজ্ঞান, এগোচ্ছে প্রযুক্তি। রাত পোহালেই বদলে যাচ্ছে সবকিছু। উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে বিপদ এগিয়ে আসছে, সেটিও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। ২০২৩ সালেও তেমন কিছু নিদর্শন দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যে কীভাবে অভিশাপ হয়ে উঠছে, সেটিও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদ পেতেছে প্রতারকরা। অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপে ফোন পাচ্ছেন, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। এভাবেই চুরি হয়ে যাচ্ছে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য।
কিউআর কোড বিষয়টাকে নিরাপদ বলে মনে করা হত। কিন্তু তাতেও বিপদ কম নেই। কিউআর কোডের জায়গায় এমন কোড বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ক্রেতাদের কাছে খুলে যায় কোনো অন্য সাইট, সেখানে টাকা কেটে নিলেই বিপদ। ২০২৩ সালে এটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
বেকারত্ব যেভাবে বাড়ছে, তার সুযোগ নিয়ে চলছে প্রতারণা। চাকরি দেওয়ার নাম করে নানা ধরনের ফাঁদ পাতা হচ্ছে, তাতে পা দিলেই বিপদ। আর এ বছরে এই বিপদে পড়েছেন বহু মানুষ।
ধরুন কেউ আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ইউটিউবের লিংক দিয়েছে, তার মাধ্যমে টাকা রোজগারের কথা বলা হয়েছে, তাতেও ভুল করলে চলবে না। হতে পারে বিপদ। টাকা চলে যেতে পারে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে।
মানুষ নয়, ফোন করবে এআই কলার। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টা হবে। এমন প্রতারণার উপায়ও সামনে এসেছে। অবিকল আপনার কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর গলায় ফোন করছে এআই। তারপর জরুরি প্রয়োজন বলে টাকা ট্রান্সফার করতে বলছে। এভাবেও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। তাই প্রতারণা এড়াতে খুব সাবধান হতে হবে।