০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ প্রদান করেছেন আদারত। এছাড়া আরও একজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিকে ১ লক্ষ করে টাকা জরিমানা এবং অপর জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও নূরপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জলিল কবিরাজের ছেলে জাহিদ মিয়া (২৮)। এছাড়া কারাদন্ড প্রদান করা হয়- মরমা গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে লিমন।

সিলেট  দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের পিপি স‌রোয়ার আহমদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা পরিকল্পনা করে তানভীরকে হত্যা করে তার লাশ পুঁতে রেখেছিল। আদালত্তোদেরেিভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে।

এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামী উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল।

ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত।

পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন।

ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ০৮:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ প্রদান করেছেন আদারত। এছাড়া আরও একজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিকে ১ লক্ষ করে টাকা জরিমানা এবং অপর জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও নূরপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জলিল কবিরাজের ছেলে জাহিদ মিয়া (২৮)। এছাড়া কারাদন্ড প্রদান করা হয়- মরমা গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে লিমন।

সিলেট  দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের পিপি স‌রোয়ার আহমদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিরা পরিকল্পনা করে তানভীরকে হত্যা করে তার লাশ পুঁতে রেখেছিল। আদালত্তোদেরেিভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে।

এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামী উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল।

ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত।

পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন।

ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।