০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫০

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৫০ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭২ জন নতুন রোগী। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬০৪ দাঁড়িয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ আজ সকালে বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেলায়ার হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, চলতি বছর বরিশালে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় ইতিমধ্যে বিগত বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ২০১৯ সালের আগে বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ইতিহাস নেই। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ হাজারে বেশি রোগী। এরপর ২০২২ সালে পুনরায় প্রকোপ দেখা দিলে ১১ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬০৪ জন।

জুলাই থেকে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক রূপ নেয়। জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন ৪ হাজার ৮৬৭ জন। মারা যান ৯ জন। আগস্টে তা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আগস্টে বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের মাসের দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ২৩৯। মারা যান ২৯ জন। এর আগে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ছিলেন মাত্র ৪৩৩ জন। মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। আর চলতি সেপ্টেম্বরের পাঁচ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৫ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছর বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আগের যেকোনো বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামে এবার ডেঙ্গুর বিস্তৃতি ঘটায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব রোগী মারা গেছেন, তার বেশির ভাগ গ্রামের ও বয়স্ক। দেরিতে হাসপাতালে আনা এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য জ্বর হলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করা এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরুর পরামর্শ দেন তিনি।

বিষয়

বরিশালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫০

প্রকাশিত: ০২:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৫০ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭২ জন নতুন রোগী। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬০৪ দাঁড়িয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ আজ সকালে বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেলায়ার হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, চলতি বছর বরিশালে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় ইতিমধ্যে বিগত বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ২০১৯ সালের আগে বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ইতিহাস নেই। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ হাজারে বেশি রোগী। এরপর ২০২২ সালে পুনরায় প্রকোপ দেখা দিলে ১১ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬০৪ জন।

জুলাই থেকে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক রূপ নেয়। জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন ৪ হাজার ৮৬৭ জন। মারা যান ৯ জন। আগস্টে তা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আগস্টে বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের মাসের দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ২৩৯। মারা যান ২৯ জন। এর আগে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ছিলেন মাত্র ৪৩৩ জন। মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। আর চলতি সেপ্টেম্বরের পাঁচ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৫ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছর বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু আগের যেকোনো বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামে এবার ডেঙ্গুর বিস্তৃতি ঘটায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব রোগী মারা গেছেন, তার বেশির ভাগ গ্রামের ও বয়স্ক। দেরিতে হাসপাতালে আনা এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য জ্বর হলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করা এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরুর পরামর্শ দেন তিনি।