০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বন্যার মধ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস

বন্যায় ভাসছে পুরো সিলেট। জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য বলেছে জেলার ১ হাজার ১১৬টি গ্রামে বন্যার পানি রয়েছে। এতে জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৭ জন মানুষ।

এদিকে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস সিলেটে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ৩ দিন সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সরকারি এই সংস্থাটি জানিয়েছে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে আগামীকাল মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে দেশের বাকি চার বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া আরও অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশের অনেক অঞ্চলই এখন বৃষ্টিহীন। তবে কোথাও কোথাও আবার ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে এবং ঢাকায়ও বৃষ্টি হতে পারে। এসময় সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জলাবদ্ধ এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদ–নদীর বাঁধ ভেঙে ওই সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের আজ সোমবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের দুই নদীর তিন‌টি পয়েন্টে পা‌নি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবা‌হিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবা‌হিত হয়। কু‌শিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে ৪৯ সে‌ন্টি‌মিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পা‌নি বিপৎসীমারা ৯৬ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দিয়ে প্রবা‌হিত হচ্ছে।

এদিকে জেলার সীমন্তবর্তী জ‌কিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে এবং পা‌নি উপচে বি‌ভিন্ন এলাকা প্লা‌বিত হয়েছে। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৭ জন মানুষ পানিবন্দী। বর্তমানে জেলার ১ হাজার ১১৬টি গ্রাম প্লাবিত। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৯ হাজার ৮৩৪ জন। বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণসহায়তা অব্যাহত আছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বৃষ্টি কমে আসায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নামছে ধীরে। আরও কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে


 

সিলেটে বন্যার মধ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস

প্রকাশিত: ১০:২৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

বন্যায় ভাসছে পুরো সিলেট। জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য বলেছে জেলার ১ হাজার ১১৬টি গ্রামে বন্যার পানি রয়েছে। এতে জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৭ জন মানুষ।

এদিকে চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস সিলেটে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ৩ দিন সিলেটে ভারী বৃষ্টির পূর্ভাবাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সরকারি এই সংস্থাটি জানিয়েছে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে আগামীকাল মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে দেশের বাকি চার বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া আরও অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় দেশের অনেক অঞ্চলই এখন বৃষ্টিহীন। তবে কোথাও কোথাও আবার ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে এবং ঢাকায়ও বৃষ্টি হতে পারে। এসময় সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জলাবদ্ধ এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদ–নদীর বাঁধ ভেঙে ওই সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের আজ সোমবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের দুই নদীর তিন‌টি পয়েন্টে পা‌নি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবা‌হিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবা‌হিত হয়। কু‌শিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে ৪৯ সে‌ন্টি‌মিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পা‌নি বিপৎসীমারা ৯৬ সে‌ন্টি‌মিটার ওপর দিয়ে প্রবা‌হিত হচ্ছে।

এদিকে জেলার সীমন্তবর্তী জ‌কিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে এবং পা‌নি উপচে বি‌ভিন্ন এলাকা প্লা‌বিত হয়েছে। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৭ জন মানুষ পানিবন্দী। বর্তমানে জেলার ১ হাজার ১১৬টি গ্রাম প্লাবিত। আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৯ হাজার ৮৩৪ জন। বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণসহায়তা অব্যাহত আছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বৃষ্টি কমে আসায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নামছে ধীরে। আরও কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।


সর্বশেষ খবর বাঙালনিউজ এর গুগল নিউজ চ্যানেলে